উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সামাজিক প্রয়োজন, সমস্যা দূরীকরণে এবং পরিবর্তনশীলতার সাথে তাল মিলিয়ে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এসেছে পরিবর্তন, যেখানে মানুষের প্রয়োজনটা বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আর সেটা হলো সমাজকল্যাণ প্রশাসন। বাংলাদেশে এ সমাজকল্যাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
→ সমাজসেবা কর্মসূচি প্রশাসন : সমাজকল্যাণ প্রশাসনের কার্যাবলি সম্পর্কে জানতে হলে আগে জানা দরকার আমাদের দেশে কোন ধরনের সমাজকল্যাণ কার্যাবলি পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের দেশে প্রধানত দু’ধরনের সমাজকল্যাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে-
১. সরকারি সমাজকল্যাণ কার্যক্রম ও
২. বেসরকারি সমাজকল্যাণ কার্যক্রম।
সরকারি সমাজকল্যাণ আরো দু’ভাগে বিভক্ত। যথা-
(ক) সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত সমাজকল্যাণ কার্যাবলি ও
(খ) সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত কার্যাবলি। বেসরকারি সমাজকল্যাণ কার্যাবলিকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(ক) দেশীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত সমাজকল্যাণ কার্যক্রম ও
(খ) আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত সমাজকল্যাণ কার্যক্রম। আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত সমাজকল্যাণ কার্যাবলি সাধারণত নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। যেমন- পররাষ্ট্র ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগ কর্তৃক। তবে কার্যক্রম পরিচালনায় এসব সংস্থার নিজস্ব প্রশাসন ব্যবস্থা রয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমতি সাপেক্ষ নিজস্ব প্রশাসন দ্বারা এসব প্রশাসন ব্যবস্থা
পরিচালিত হয়ে থাকে। আবার এগুলো স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েও পরিচালিত হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, সমাজসেবা অধিদপ্তর সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখার কথা। তবে কিছু সমস্যার সম্মুখীন তারা হচ্ছে। যার ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে পারছে না।