উত্তর ৷ ভূমিকা : সমাজবিজ্ঞান মানুষের সামাজিক ক্রিয়াকাণ্ডের বিজ্ঞান । মানুষের দলগত আচরণ ও পারস্পরিক কার্যকলাপ সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞানে আলোকপাত করা হয় ।
সমাজবিজ্ঞান : যে শাস্ত্র সমাজের মানুষের উৎপত্তি , ক্রমবিকাশ , আচার আচরণ , রীতিনীতি , ধ্যানধারণা প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে তাকে সমাজবিজ্ঞান বলে ।
শাব্দিক বিশেষণ : ল্যাটিন শব্দ Socious এবং গ্রিক শব্দ Logos এর সমন্বয়ে ইংরেজি Sociology শব্দের উৎপত্তি । ‘ Socious ‘ শব্দের অর্থ সমাজ আর ‘ Logos ‘ শব্দের অর্থ জ্ঞান । Sociology শব্দের অর্থ সমাজের জ্ঞান ।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : ডুরখেইম এর মতে , “ সমাজবিজ্ঞান হলো অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান । ”
ডেভিড ড্রেসলার তাঁর ‘ Sociology ‘ গ্রন্থে বলেছেন , “ সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে মানুষের পারস্পরিক ক্রিয়ার বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়ন । ”
আধুনিক সংজ্ঞা : বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার তাঁর ‘ Society ‘ গ্রন্থে বলেছেন , “ সমাজবিজ্ঞানই একমাত্র বিজ্ঞান , যা সমাজ এবং সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে পাঠ করে । ”
ম্যাক্সওয়েবার এর মতে , “ সমাজবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হলো সামাজিক কার্যাবলির অধ্যয়ন এবং সামাজিক কার্যাবলির মধ্যে একটি কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ে ব্যাখ্যাদান করা । ”
সর্বাধুনিক সংজ্ঞা : ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিল জে , স্পেনসার তাঁর ‘ Sociology ‘ গ্রন্থে বলেছেন , “ সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে এমন একটি অভিজ্ঞতা বা গবেষণানির্ভর বিজ্ঞান যা সমাজ এবং সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে অধ্যয়ন করে । ”
উপসংহার : উপর্যুক্ত সংজ্ঞার আলোকে বলা যায় যে , সমাজবিজ্ঞান হলো জ্ঞানের সে শাখা বা শাস্ত্র যার আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাজের গঠনপ্রণালী , পরিবর্তনশীল সমাজকাঠামো , সমাজস্থ মানুষের আচার আচরণ কার্যাবলি তথা সমাজের স্বরূপ প্রতিফলিত হয় ।