অথবা, মূলত একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশে কাল মার্কসের অবদান আলোচনা কর।
উত্তরা৷ ভূমিকা : মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে মানুষের জীবন যেমন সরল থেকে জটিল হয়েছে, তেমনি মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এসেছে পরিবর্তন। সমাজের এ পরিবর্তনের ধারায় সৃষ্টি হয় শাসক শ্রেণি ও শোষিত শ্রেণি ৷ যুগ যুগ ধরে দাসত্বের বা শোষণের শৃঙ্খলে আবদ্ধ শ্রমিক শ্রেণিকে মুক্ত করার প্রয়াসে আলোকবর্তিকারূপে হাজির হন জার্মান দার্শনিক Karl Marx.
কার্ল মার্কসের অবদান : জার্মান দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ Karl Marx তৎকালীন দার্শনিক Hegel, Auguste Comte, Saint Simon প্রমুখের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। Comte ও অন্যান্য Romantic conservative দার্শনিকগণ কর্তৃক বাতিল করে দেয়া ধারণা Marx সুচিন্তিতভাবে দক্ষতার সাথেই রক্ষা করেন। ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে Marx এর তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে সাড়া জাগায়। বস্তুগত সত্যই ছিল তাঁর তত্ত্বের প্রকৃত উদ্দেশ্য। Marx এর সমাজতাত্ত্বিক অবদানের ক্ষেত্রে যে কয়টি দিক উল্লেখযোগ্য, সেগুলো হলো :
১. দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ তত্ত্ব (Theory of dialectical materialism) : Marx এর দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের তত্ত্বই তাঁর সমগ্র দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু। এ তত্ত্বই সাম্যবাদের দর্শন। Marx ও Engels এর দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের তত্ত্ব Hegel এর বস্তুবাদের উপর ভর করে বিকশিত হলেও তা হেগেলীয় দ্বন্দ্ববাদের তত্ত্ব থেকে পৃথক । দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিটি যখন সমাজ বিকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, তখন তা একটি সূত্র বা ধারা উন্মোচন করে। তাই পরবর্তী মার্কসবাদীগণ একে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ প্রক্রিয়ায় সমাজ বিকাশে Marx এর নিম্নোক্ত পাঁচটি স্তরকে দেখানো যেতে পারে :