অথবা, সমাজকর্মের সাহায্যকারী পদ্ধতিগুলোর সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও ।
অথবা, সমাজকর্মের তিনটি সাহায্যকারী পদ্ধতি বর্ণনা কর।
অথবা, সমাজকর্মের তিনটি সাহায্যকারী পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে মৌলিক পদ্ধতিগুলার প্রয়োগ করতে হয়। আর মৌলিক পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করতে হলে সমাজকর্মের সাহায্যকারী পদ্ধতিগুলোর আশ্রয় নিতে হয়।
সাহায্যকারী পদ্ধতি : সমাজকর্ম অনুশীলনের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিগুলো মৌলিক পদ্ধতিগুলোকে সহায়তা করে সেগুলোকে
সমাজকর্মের সহায়ক পদ্ধতি বলা হয়। নিম্নে সমাজকর্মের সহায়ক পদ্ধতিগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো :
১. সমাজকর্ম গবেষণা : সমাজকর্ম গবেষণা সমাজকর্মের এমন একটি সহায়ক পদ্ধতি যে পদ্ধতির সাহায্যে ব্যক্তিগত, দলীয় ও সমষ্টিগত সমস্যা ও সমস্যার কারণ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নির্ভর অনুসন্ধান কার্য পরিচালনা করা হয়।
২. সমাজকর্ম প্রশাসন : সমাজকর্ম অনুশীলন ও সমাজকল্যাণমূলক কার্যাবলির ক্ষেত্রে এর পরিচালনা পদ্ধতি যার মাধ্যমে বাস্তবায়িত, সংশোধিত ও পরিশীলিত হয় তাকে সমাজকর্ম প্রশাসন বলে। Russel H. Kurtz এর মতে,
“সমাজকর্ম প্রশাসন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বুঝায় যা সামাজিক নীতিকে সমাজসেবায় রূপান্তর করে এবং যার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সামাজিক নীতি বা পদ্ধতি সংশোধন করা যায়।”
৩. সামাজিক কার্যক্রম : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম ও দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রসারের মাধ্যমে সমাজ সংস্কার, সামাজিক নীতি ও আইন প্রণয়ন, কিংবা সংশোধন, এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর সামাজিক প্রথা-প্রতিষ্ঠানের উচ্ছেদ সাধনের প্রচেষ্টা করা হয় তাকে সামাজিক কার্যক্রম বলে।
উপসংহার : সবশেষে আমরা বলতে পারি, ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমাজকর্ম পদ্ধতিগুলোর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বাঞ্ছিত উপায়ে সমাজের পরিবর্তন সাধন ও বিভিন্ন সমস্যাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে তার কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সমাজকর্ম পদ্ধতিগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে।