অথবা, সমাজকর্মের মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতিগুলো লিখ।
অথবা, সমাজকর্ম পদ্ধতির শ্রেণি বিভাগ আলোচনা কর।
অথবা, সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রকারভেদগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : কোন কাজ সম্পাদনের উপায়কে পদ্ধতি (Method) বলা হয়। একটি সাহায্যকারী পেশা (Helping profession) হিসেবে সমাজকর্মেরও কতকগুলো নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যা
সমাধানের ক্ষেত্রে সমাজকর্মের এই পদ্ধতিসমূহ ব্যবহৃত হয়।
সমাজকর্মের পদ্ধতি : সমাজকর্মের পদ্ধতিকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
১. মৌলিক পদ্ধতি (Basic method) ও
২. সহায়ক পদ্ধতি (Auxiliary method)
১. মৌলিক পদ্ধতি : পেশাগত অনুশীলনের ক্ষেত্রে সমাজকর্মীগণ যেসব পদ্ধতি সরাসরি (Direct) প্রয়োগ করে থাকেন তাকে মৌলিক পদ্ধতি বলা হয়। মৌলিক পদ্ধতিকে প্রত্যক্ষ পদ্ধতি বলেও অভিহিত করা হয়। মৌলিক পদ্ধতি আবার তিন প্রকার। যথা : ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতি, দল সমাজকর্ম পদ্ধতি ও সমষ্টি সমাজকর্ম পদ্ধতি ।
২. সহায়ক পদ্ধতি : সমাজকর্ম অনুশীলনের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিগুলো মৌলিক পদ্ধতিগুলোকে সহায়তা করে সেগুলোকে সমাজকর্মের সহায়ক পদ্ধতি বলা হয়। সহায়ক পদ্ধতি আবার তিন প্রকার। যথা : সমাজকর্ম গবেষণা, সমাজকর্ম প্রশাসন ও সামাজিক কার্যক্রম ।
উপসংহার : ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমাজকর্ম পদ্ধতিগুলোর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বাঞ্ছিত উপায়ে সমাজের পরিবর্তন সাধন ও বিভিন্ন সমস্যাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে তার কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সমাজকর্ম পদ্ধতিগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে।