সমস্যার উৎস হিসেবে পূর্ববর্তী গবেষণা ও সাহিত্য পর্যালোচনা সংক্ষেপে লিখ।

অথবা, পূর্ববর্তী গবেষণা ও সাহিত্য পর্যালোচনা বলতে কী বুঝ?
অথবা, পূর্ববর্তী গবেষণা ও সাহিত্য পর্যালোচনা কী?
অথবা, পূর্ববর্তী গবেষণা ও সাহিত্য পর্যালোচনার সংজ্ঞা দাও।
অথবা পূর্ববর্তী গবেষণা ও সাহিত্য পর্যালোচনা কাকে বলে?
উত্তর।। ভূমিকা : সমস্যাকে কেন্দ্র করেই বিজ্ঞানের জিজ্ঞাসা ও গবেষণা শুরু হয়। তাই সমস্যাকে বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। সমস্যা ছাড়া সমাধানের যেমন কোন অর্থ হয় না। তেমনি সমস্যা ছাড়া বৈজ্ঞানিক
অনুসন্ধানের ও কোন অর্থ হয় না। যে কোন গবেষণা করার জন্য প্রথমেই সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে হবে। সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে না পারলে তা সমাধান করাও সম্ভব হয় না। তাই সমস্যা নির্বাচন, সমস্যা সংজ্ঞায়ন ও সমস্যা ব্যাখ্যাকরণ ও সমস্যা নিয়ে কাজ গবেষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুতরাং সার্থকভাবে গবেষণা পরিচালনা করার জন্য সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পূর্ববর্তী গবেষণা : পূর্ববর্তী গবেষণা সমস্যার একটি উৎস। যখন একটি গবেষণা শুরু করে তার কার্যসম্পাদন করা হয় তখন গবেষণার ফলাফলকে ঘিরে একাধিক গবেষণার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এসব সম্ভাবনাগুলো সমস্যাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে। এমনিভাবে একটি গবেষণা শেষ করার পর পর্যায়ক্রমে আরো একাধিক গবেষণামূলক সমস্যার উৎপত্তি ঘটে।এসব সমস্যাগুলো পূর্ববর্তী গবেষণার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে থাকে।
সাহিত্য পর্যালোচনা : গবেষণায় সমস্যার জন্য সাহিত্য পর্যালোচনাও প্রয়োজন। গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য, সংবাদ,ইতিহাস, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করাকে সাহিত্য বলে। এ সমস্ত গবেষণামূলক সাহিত্য পড়ে ব্যাখ্যা, পর্যালোচনা, আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়। বিভিন্ন গবেষণা সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার পর নতুন নতুন গবেষণামূলক সমস্যার উদ্ভব ঘটে। তাই গবেষণা সমস্যার ক্ষেত্রে সাহিত্য পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণামূলক সমস্যাগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে উদ্ভব হয়। গবেষকগণ তার নিজের মতো করে সমস্যাগুলোকে খুঁজে বের করে গবেষণার কাজে ব্যবহার করেন। সমস্যা ব্যতীত কোন গবেষণার কথা ভাবাই যায় না। সমস্যা বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গবেষণার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো সমস্যা।সমস্যার উৎস বিভিন্নভাবে হতে পারে। সুতরাং সমস্যার উৎসের গুরুত্ব গবেষণার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।