সমস্যার উৎস হিসেবে অন্তর্দর্শন ও প্রাকৃতিক ঘটনাবলি সংক্ষেপে লিখ।

অথবা, অন্তদর্শন ও প্রাকৃতিক ঘটনাবলি বলতে কি বুঝ?
অথবা, অন্তদর্শন ও প্রাকৃতিক ঘটনাবলি কী?
অথবা, অন্তদর্শন ও প্রাকৃতিক ঘটনাবলি কাকে বলে?
অথবা, অন্তর্দর্শন ও প্রাকৃতিক ঘটনাবলির সংজ্ঞা দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা : সমস্যাকে কেন্দ্র করেই বিজ্ঞানের জিজ্ঞাসা ও গবেষণা শুরু হয়। তাই সমস্যাকে বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। সমস্যা ছাড়া সমাধানের যেমন কোন অর্থ হয় না। তেমনি সমস্যা ছাড়া বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ও কোন অর্থ হয় না। যে কোন গবেষণা করার জন্য প্রথমেই সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে হবে। সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে না পারলে তা সমাধান করাও সম্ভব হয় না। তাই সমস্যা নির্বাচন, সমস্যা সংজ্ঞায়ন ও সমস্যা ব্যাখ্যাকরণ ও সমস্যা নিয়ে কাজ গবেষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুতরাং সার্থকভাবে গবেষণা পরিচালনা করার জন্য সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্তদর্শন : সমস্যার উৎসমূলে অন্তদর্শনেরও ভূমিকা রয়েছে। যে সমস্ত লোক গবেষণা কাজে নিয়োজিত থাকে তাদেরকে প্রথমে সমস্যাটিকে চিহ্নিত করে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। গবেষকরা যে কোন ব্যস্ত থাকুক না কেন তাদের প্রত্যক্ষণে সবসময় গবেষণার বিষয়বস্তু জাগ্রত থাকে। ফলে যে কোন সময় গবেষণা সংক্রান্ত নতুন সমস্যার উদ্ভব ঘটে। নতুন সমস্যার উদ্ভব ঘটে বিধায় এই প্রক্রিয়াকে অন্তদর্শন বলে। অন্তদর্শনের মাধ্যমে কেবল সমস্যার উদ্ভবই হয় না বরং এ সমস্যা সমাধানের উপায়ও পাওয়া যায়। অন্তদর্শনের মাধ্যমে যে সমস্যা বা সমাধান পাওয়া যায় সেগুলোকে মনোবিজ্ঞানীরা শিক্ষণের প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রাকৃতিক ঘটনাবলি : সমস্যার অন্যতম একটি উৎসমূল হলো প্রাকৃতিক ঘটনাবলি যখন থেকে প্রাকৃতিক ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ করা হয়। তখন থেকে গবেষকদের চিন্তা চেতনার কতকগুলো প্রশ্নের আবির্ভাব ঘটে। এই সমস্ত প্রশ্নগুলোই মনোবিজ্ঞানে গবেষণামূলক সমস্যা বলে অভিহিত হয়। উদাহারণস্বরূপ মেঘলা আকাশে বিদ্যুৎ চমকাবার সময় প্রচণ্ড শব্দ হয়। এখানে প্রাকৃতিক ঘটনার সাথে যোগসূত্র স্থাপন করাই গবেষকদের নিকট সমস্যা বলে বিবেচিত হয়। কোন আলোর ঝলকানির পরপরই প্রচণ্ডভাবে শব্দ হয়, এমন প্রশ্ন গবেষকদের কাছে ধরা দেয়। এসব প্রশ্নের উত্তর বের করাই একটি সমস্যা। সুতরাং বিভিন্ন প্রকারের প্রাকৃতিক ঘটনাবলি থেকেই গবেষণামূলক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণামূলক সমস্যাগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে উদ্ভব হয়। গবেষকগণ তার নিজের মতো করে সমস্যাগুলোকে খুঁজে বের করে গবেষণার কাজে ব্যবহার করেন। সমস্যা ব্যতীত কোন গবেষণার কথা ভাবাই যায় না। সমস্যা বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গবেষণার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো সমস্যা।সমস্যার উৎস বিভিন্নভাবে হতে পারে। সুতরাং সমস্যার উৎসের গুরুত্ব গবেষণার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।