অথবা, তথ্যের ব্যাখ্যা বলতে কী বুঝ?
অথবা, তথ্যের ব্যাখ্যা কী?
অথবা, তথ্যের ব্যাখ্যা কাকে বলে?
অথবা, তথ্যের ব্যাখ্যার সংজ্ঞা দাও।
উত্তর।। ভূমিকা : সমস্যাকে কেন্দ্র করেই বিজ্ঞানের জিজ্ঞাসা ও গবেষণা শুরু হয়। তাই সমস্যাকে বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। সমস্যা ছাড়া সমাধানের যেমন কোন অর্থ হয় না। তেমনি সমস্যা ছাড়া বৈজ্ঞানিক
অনুসন্ধানের ও কোন অর্থ হয় না। যে কোন গবেষণা করার জন্য প্রথমেই সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে হবে। সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে না পারলে তা সমাধান করাও সম্ভব হয় না। তাই সমস্যা নির্বাচন, সমস্যা সংজ্ঞায়ন ও সমস্যা ব্যাখ্যাকরণ ও সমস্যা নিয়ে কাজ গবেষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সুতরাং সার্থকভাবে গবেষণা পরিচালনা করার জন্য সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যের ব্যাখ্যা : কোন কিছু সম্বন্ধে কোন নতুন তথ্য পাওয়া গেলে তাকে আমরা সেরূপ ঘটনা সম্বন্ধে সংগৃহীত তথ্যের সাথে সম্পর্কিত করতে চাই। কোন ঘটনা সম্পর্কে যখন কোন নতুন তথ্যসংগ্রহ করি তখন আমাদের মনে প্রশ্ন থেকে যায় যে, এরূপ ঘটনা কেন ঘটল? আমরা যখন কোন বিষয় সম্পর্কে পাই তখন সেগুলোকে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করি।
যে কোন জ্ঞান আহরণ করার জন্য জ্ঞানকে সুসামঞ্জস্য ও সুসংবদ্ধ হতে হবে। জ্ঞান আহরণ করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো জ্ঞানকে সুসংবদ্ধ ও সুসামঞ্জস্য করা। যে জ্ঞান উদ্দেশ্যহীনভাবে ছড়িয়ে আছে সে জ্ঞান কোন কাজেই আসে না।
উদাহরণস্বরূপ : একজন মনোবিজ্ঞানী লক্ষ করলেন যে, একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনায় মোটেও ভালো করতে পারছে না।বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে, কারণে অকারণে ছেলেটির মা তাকে বকাঝকা করে থাকে। প্রথমে মনোবিজ্ঞানীর পক্ষে মার বকা এবং পড়াশোনা ভালো না করতে পারার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয় নি। কিন্তু তিনি যদি শিক্ষণে পুরস্কারের প্রভাবের সাথে এর নীতির সাথে এ ঘটনাটিকে সম্পর্কিত করতে পারেন তাহলে তিনি আলোচ্য সমস্যাটিকে সমাধান করতে পারবেন। ইতিবাচক পুরস্কার সব সময় শিক্ষণের পক্ষে শুভ হয়। কিন্তু নেতিবাচক পুরস্কার কখনো শিক্ষণের পক্ষে শুভ নয়। মার বকা খাওয়া একপ্রকার নেতিবাচক পুরস্কার। বিশেষ করে ছেলেটির পড়াশোনায় ভালো না।থাকার জন্য এই নেতিবাচক পুরস্কারই মূলত দায়ী। সুতরাং ঘটনাগুলোকে সুসংবদ্ধ করার মাধ্যমে মনোবিজ্ঞানী আলোচ্য সমস্যাকে সমাধান করতে পারেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণা সমস্যার কিছু কৌশল রয়েছে। এ কৌশল বা উপায়গুলো ব্যবহার করলে যে কোন গবেষণা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু করার আগে সমস্যাগুলো শনাক্ত করতে হবে। যদি সমস্যাগুলো শনাক্ত করা যায় তাহলে সহজেই সমাধান করা সম্ভব হবে। সার্থকভাবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনার জন্য সমস্যাকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গবেষণা সমস্যার কৌশল বা উপায়গুলোর গুরুত্ব
মনোবিজ্ঞানে অস্বীকার করা যায় না।


