উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সুষ্ঠু ও কার্যকর নির্দেশনা ব্যতীত প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন সম্ভব নয় একটি প্রতিষ্ঠান তখনই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করবে যখন প্রয়োজন নীতিমালা । প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ কিছু নীতিমালা থাকে যেগুলো ব্যতীত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়ে যায়। এই নীতিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠান কার্য প্রণালি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
সমন্বয় সাধনের নীতিমালা ঃ সমন্বয়ের কাজটি সার্থকভাবে সম্পন্ন করতে কতগুলো নীতিমালা অনুসরণ করতে হয় যেগুলোকে সমন্বয়ের নীতিমালা বলে। Mary parkar Follett সমন্বয় সাধনের ৪টি মূলনীতির কথা উল্লেখ করেছেন।
১. সমন্বয় সাধনের জন্য প্রক্রিয়াটি সরাসরি হতে হবে।
২. কার্যারম্ভের প্রাথমিক পর্যায়ে সমন্বয় সাধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৩. সমন্বয় সাধনের কার্যাবলি পারস্পরিকভাবে সম্পাদন করা প্রয়োজন।
৪. চলমান প্রক্রিয়া হিসাবে সমন্বয় গ্রহণ করতে হবে।
H. B Tracker সমন্বয় মূলনীতির প্রসঙ্গে ৭টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
১. সমস্যার প্রকৃতি ও যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংস্থার কার্যক্রম পরিচালিত হয় তার মাঝে অবশ্যই মতৈক্য থাকতে হবে।
২. সকল দলের অন্তর্নিহিত মূলনীতি সম্পর্কে অবশ্যই সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।
৩. সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উদ্ভূত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবেলার জন্য অবশ্যই বেশকিছু সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি থাকে ।
৪. সংস্থার প্রতিটি ইউনিটের দায়িত্ব-কর্তব্য তাদের কাজের ধরন এবং কাজ ধার্যকরন সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
৫. সময়সূচির বিষয়ে অবশ্যই মতৈক্য থাকতে হবে যাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সময় অনুসারে কর্ম সম্পাদন করা সম্ভব হয়।
৬. বিভিন্ন দলের কাজের মাঝে যোগসূত্র স্থাপন এবং কাজের সুস্পষ্টতার জন্য অবশ্যই নিয়মিতভাবে গঠিত এবং নিয়মিতভাবে ব্যবহৃত মাধ্যম থাকবে যাতে করে একটি সময়ে একটি দল অন্য একটি দলের কাজ ও অবদান সম্পর্কে জানতে পারে।
৭. সংস্থার অভ্যন্তরে কার্যকর আন্তঃদলীয় যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংস্থার কর্মীদের মাঝে উত্তম দলীয় প্রচেষ্টা থাকতে হবে এবং পাশাপাশি সংস্থার বোর্ড ও নির্বাহী পরিচালকদের মাঝে ও যথাযথ সমঝোতা করতে হবে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায়, সমন্বয় একটি চলমান প্রক্রিয়া হওয়ার সময় ও প্রয়োজন অনুসারে সমন্বয় পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনয়নের নিশ্চিয়তার বিধান থাকতে হবে। আবার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের কাজের কার্যকারিতা যাচাইয়ে মূল্যায়নের এক পদ্ধতি ও সামগ্রিক সমন্বয় প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এ কারণে সমন্বয়ের প্রতিটি পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তথা দিক নির্দেশনা অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।