সমন্বয়ের লক্ষ্যসমূহ লিখ।

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ কোনো এজেন্সীর লক্ষ্যার্জনের জন্য নীতিনির্ধারণ থেকে শুরু করে পরিকল্পনা গ্রহণ, কর্মসূচি প্রণয়ন তথা বাস্তবায়ন করা হয়, যার সাথে বিভিন্ন ব্যক্তি, দল, কমিটি বা উপকমিটি জড়িত থাকে। আর এসব ব্যক্তি, দল বা কমিটির কার্যের বিশ্লেষণ ও তাদের মধ্যে ভারসাম্য বা ঐক্য স্থাপনের প্রক্রিয়াটি হল সমন্বয় বা Cordination, যা শ্রমবিভাগের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে।
→ সমন্বয়ের লক্ষ্যসমূহ ঃ প্রশাসনিক সমন্বয়ের উদ্দেশ্য হলো সর্বাধিক গঠনমূলকভাবে সামগ্রিক প্রতিষ্ঠানকে তার কার্যক্রম পরিচালনায় সক্ষম করে তোলা যাতে সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে উদ্দেশ্য অর্জন করা যায়। এক্ষেত্রে D. Paul chowdhury কতকগুলোর উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন।
১. সমন্বয় চলমান কর্মসূচি ও প্রকল্পের বিভিন্ন অসুবিধা ও বাধাসমূহ দূরীকরণে সাহায্য করে।
২. সমন্বয় স্বেচ্ছামূলক ও টাকার বিনিময়ে সেবা প্রদানকারী উভয় ধরনের কর্মীদের ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস সহায়ক।
৩. সামাজিক সমস্যা মোকাবেলা করার ব্যয় হ্রাস করতেও সমন্বয় সহায়ক করে।
৪. সমন্বয়ের ফলে সংগঠনের লক্ষ্য পূরণে দক্ষতাপূর্ণ কৌশল প্রয়োগ করা সম্ভব হয়।
৫. সমন্বয় প্রতিযোগিতামূলক মূলধন সৃষ্টিতে বাধা প্রদানে সহায়ক। কেননা কোনো বিশিষ্ট নাগরিকের কাছ থেকে এর সুফল পাওয়া সম্ভব হয় না।
৬. সমন্বয় সাধারণ সামাজিক সমস্যাসমূহ অনুধ্যানের সুযোগ প্রদান করে এবং এ সমস্ত সমস্যা সমাধানের জনমত সৃষ্টি ও সামাজিক আইনের জন্য কাজ করাকে অন্তর্ভুক্ত করাসহ যৌথ প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করে।
৭. সংক্ষেপে বলতে গেলে, সমন্বয় সংগঠনের অভ্যন্তরে কর্মের সাধারণ কার্যকারিতাকে উন্নত করে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায়, সমন্বয়ের উল্লিখিত লক্ষ্যসমূহই প্রশাসনে এর গুরুত্বকে তুলে ধরে। যে সমস্ত জনসমষ্টি ও সংগঠন সমাজসেবার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে সে সমস্ত সংগঠনের প্রশাসনিক জটিলতা পরিহার, অপচয় রোধ, বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও সেবার পুনরাবৃত্তি দূর করা এবং এরই সাথে সাথে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন
এককের মাঝে যথাযথ সংযোগ তথা যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সেবামূলক তৎপরতাকে কার্যকর করে তোলাই সমন্বয়ের মূল লক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হবে।