ক-বিভাগ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-মৃত্যু কত?
উত্তর : ১৮৬১, ৭ মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮) -১৯৪১, ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮)।
২. বিশ্বকবির পিতা, মাতা এবং পিতামহের নাম কী?
উত্তর : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সারদা দেবী, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাবা-মায়ের কততম সন্তান?
উত্তর : চতুর্দশ সন্তান এবং অষ্টম পুত্র।
৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক পদবী কী ছিল?
উত্তর :কুশারী।
৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর : ১৯১৩।
৬. রবীন্দ্রনাথ কোন কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: ‘গীতাঞ্জলি’ ( Song’s Offering’s)
৭. ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যটি Song’s Offering’s নামে তিনি কার সাথে অনুবাদ করেন?
উত্তর : . B. Yeats এর সাথে।
৮. মাত্র পনেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যটি রচনা করেন?
উত্তর : ‘বনফুল’ ।
৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম কোন কবিতাটি রচনা করেন?
উত্তর : ‘হিন্দু মেলার উপহার’ ।
১০. বিশ্বকবি তাঁর কোন কবিতাটিকে ছোটবেলার ‘মেঘদূত’ নামে অভিহিত করেছেন?
উত্তর : ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান।’
১১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোনগুলোকে শেষ জীবনের প্রিয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর : তাঁর অঙ্কিত চিত্রাবলিকে ( অঙ্কিত চিত্রাবলির সংখ্যা প্রায় ২০০০)
১২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলামকে কোন রচনাটি উৎসর্গ করেছিলেন?
উত্তর : ‘বসন্ত’ গীতিনাট্য।
১৩. কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কোন রচনাটি উৎসর্গ করেছিলেন?
উত্তর : ‘সঞ্চিতা’ কাব্য ।
১৪. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন প্রথা চালু করেন?
উত্তর : রাখি বন্ধন প্রথা।
১৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘গুরুদেব’ উপাধি প্রদান করে কে?
উত্তর : মহাত্মা গান্ধী।
১৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বিশ্বকবি’ উপাধি প্রদান করে কে?
উত্তর : ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় ।
১৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘ভারত রত্ন’ উপাধি প্রদান করে কে?
উত্তর : ত্রিপুরার রাজা।
১৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কী?
উত্তর : ভানুসিংহ ঠাকুর।
১৯. ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘নাইট হুড’ উপাধি প্রদান করে কখন?
উত্তর : ১৯১৫ সালে ।
২০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে ‘নাইটহুড’ উপাধি প্রত্যাখ্যান করেন কেন?
উত্তর : জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য।
২১. কোন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ অবদান আছে?
উত্তর : ‘শান্তিনিকেতন’ ও ‘বিশ্বভারতী’ বিশ্ববিদ্যালয় ।
২২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন কোথায়?
উত্তর : শান্তিপুরের বোলপুরে।
২৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কতসালে কার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন?
উত্তর : ১৮৮৩ সালে যশোরের ভবতারিণী দেবীর সাথে।
২৪. বিশ্বকবির বাড়িতে ভবতারিণী দেবীর নাম কী রাখা হয়?
উত্তর : মৃণালিনী দেবী।
২৫. শান্তিনিকেতনে কবি কখন থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস আরম্ভ করেন?
উত্তর : ১৯০১ সাল থেকে।
২৬. রবীন্দ্রনাথের প্রথম লেখা উপন্যাসের নাম কী?
উত্তর : ‘করুণা’ ।
২৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম লেখা ছোটগল্পের নাম কী?
উত্তর : ভিখারিণী। (মোট গল্প ১১৯)
২৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ (১৮৮৩)
২৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম কী?
উত্তর : ‘বাল্মীকি প্রতিভা’।
৩০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রজবুলি ভাষায় কোন কাব্যটি রচনা করেন?
উত্তর : ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’
৩১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ লেখা কাব্যের নাম কী?
উত্তর : “শেষ লেখা”।
৩২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “শেষ লেখা” কাব্যের শেষ কবিতাটি কখন রচনা করেন?
উত্তর : ৩০ জুলাই, ১৯৪১, সকাল সাড়ে নয়টা (কবি কবিতাটি মুখে মুখে বলেছিলেন এবং ইন্দিরা দেবী তা লিখে নেন)।
৩৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে কোন গানটি রচনা করেছিলেন?
উত্তর : ‘বাংলার মাটি বাংলার জল।’
৩৪. ‘সভ্যতার সঙ্কট’ নামক প্রবন্ধটির রচয়িতা কে?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
৩৫. ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন প্রবন্ধ গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : ‘কালান্তর’ নামক প্রবন্ধ গ্রন্থের অন্তর্গত।
৩৬. ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন জাতীয় প্রবন্ধ?
উত্তর : রাজনৈতিক ভাবনা বিষয়ক প্রবন্ধ।
৩৭. ‘সভ্যতার সঙ্কট’ নামক প্রবন্ধটির মূলকথা কী?
উত্তর : লেখকের ইংরেজ সভ্যতার প্রতি বিশ্বাসভঙ্গ জনিত ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ের মর্ম বেদনা।
৩৮. ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধটি কত সালে রচিত?
উত্তর : ১৯৪১ সালে।
৩৯. এ প্রবন্ধটির পরতে পরতে কী ছড়িয়ে রয়েছে?
উত্তর : লেখকের ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ের মর্ম বেদনা।
৪০. কোন দেশ আধুনিক সভ্যতার সূতিকাগার হিসেবে বিবেচিত?
উত্তর : ইংল্যান্ড সূতিকাগার হিসেবে বিবেচিত।
৪১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন অনুষ্ঠানে পাঠ করার জন্য ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধটি রচনা করেন?
উত্তর : তাঁর আশিতম জন্মবার্ষিকীতে পাঠ করার উদ্দেশ্যে এ প্রবন্ধটি রচনা করেন।
৪২. ইংরেজ জাতির ঔদার্যের প্রতি রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছিল কেন?
উত্তর : নিষ্ঠুর আধিপত্যবাদ বিস্তারের কারণে ইংরেজ জাতির ঔদার্যের প্রতি রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছিল ।
৪৩. রবীন্দ্রনাথ আন্তরিক শ্রদ্ধা নিয়ে ইংরেজকে তাঁর হৃদয়ের উচ্চাসনে বসিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : ইংরেজ চরিত্রে মানবমৈত্রীর বিশুদ্ধ পরিচয় ও স্বাভাবিক সাহিত্যানুরাগের ফলে লেখক ইংরেজকে উচ্চাসনে বসিয়েছিলেন।
৪৪.জীবনের প্রথম ভাগে প্রাবন্ধিক ইংরেজদের মধ্যে কী দেখতে পেয়েছিলেন?
উত্তর : মানুষের প্রতি মানুষের অন্যায় দূর করবার আগ্রহ, রাষ্ট্রনীতিতে মানুষের শৃঙ্খলমোচনের ঘোষণা।
৪৫. ইংরেজ জাতির প্রতি রবীন্দ্রনাথের মোহভঙ্গ ঘটেছে কখন?
উত্তর : যখন তিনি দেখলেন ভারতবর্ষ ইংরেজের সভ্যশাসনের জগদ্দলপাথর বুকে নিয়ে তলিয়ে পড়ে রইল নিশ্চলতার মধ্যে।
৪৬. প্রাবন্ধিক কাকে ‘মানবজাতির বন্ধু’ বলে মান্য করতেন?
উত্তর : এন্ড্রজ নামক একজন ইংরেজকে।
৪৭. প্রাবন্ধিক দেশের বহু কোটি জনসাধারণের প্রতি ইংরেজদের কী দেখতে পেলেন?
উত্তর : অপরিসীম অবজ্ঞাপূর্ণ ঔদাসীন্য ।
৪৮. প্রাবন্ধিক বিশ্বাস ভঙ্গের বেদনায় ক্ষত-বিক্ষত হলেও কী আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন?
উত্তর : একদিন না একদিন ইংরেজকে এ ভারত সাম্রাজ্য ত্যাগ করে যেতে হবে।
৪৯. অল্পবয়সে কবি লন্ডনে গিয়ে জন ব্রাইটের বক্তৃতা থেকে কী শুনেছিলেন?
৫০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বাস ভঙ্গের বেদনায় মর্মাহত হয়ে কী বলেছিল?
উত্তর : তিনি বলেছিলেন, “আজ আমার বিদায়ের দিনে সে বিশ্বাস একেবারে দেউলিয়া হয়ে গেল।”
৫১. শেষ জীবনে প্রাবন্ধিক ইংরেজদের কী দেখে বেদনায় জর্জরিত হয়ে উঠেছেন?
উত্তর : তাদের নগ্নরূপ দেখে তিনি বেদনায় জর্জরিত হয়ে উঠেছিলেন।
৫২. বার্ক কে?
উত্তর : ইংরেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
৫৩. মেকলে কে?
উত্তর : ইংরেজ ভাষাতাত্ত্বিক ।
৫৪. শেক্সপিয়ার কে?
উত্তর : ইংরেজি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার।
৫৫. বায়রন কে?
উত্তর : বিশিষ্ট ইংরেজ কবি।
৫৬. জন ব্রাইট কে?
উত্তর : ইংরেজ মনীষী।
৫৭. শ্রীভ্রষ্ট কী?
উত্তর : সৌন্দর্যহীন; অসুন্দর।
৫৮. জরথুস্ট্রিয়ান কে?
উত্তর : প্রাচীন ইরানের জাতি বিশেষ।
৬৯. দঃগ্ৰাঘাত কী?
উত্তর : দংশন।
৬০. পরিত্রাণকর্তার জন্মদিন কী?
উত্তর : পরাধীন ভারতের মুক্তির দিন।
৬১. আত্মম্ভরিতা কী?
উত্তর : আত্মম্ভরিতা হলো অহংকার।