ক-বিভাগ
কে যোগদর্শনের প্রবর্তক ও প্রতিষ্ঠাতা?
উত্তর : মহর্ষি পতঞ্জলি যোগদর্শনের প্রবর্তক ও প্রতিষ্ঠাতা।
মহর্ষি পতঞ্জলির নামানুসারে যোগদর্শনের নাম কী?
উত্তর : পতঞ্জলির নামানুসারে যোগদর্শনের নাম পাতঞ্জল দর্শন।
কোন দর্শনকে সাংখ্য প্রবচন নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তর : পাতঞ্জল দর্শনকে সাংখ্য প্রবচন নামে অভিহিত করা হয়।
পাতঞ্জল দর্শনকে সাংখ্য প্রবচন নামে অভিহিত করা হয় কেন?
উত্তর : পাতঞ্জল দর্শনকে সাংখ্য প্রবচন নামে অভিহিত করা হয়। কারণ মহর্ষি পতঞ্জলি কপির মুনি প্রবর্তিত সাংখ্যমত স্বীকার করেছেন।
পাতঞ্জল দর্শনের মূল গ্রন্থ কী?
উত্তর : পাতঞ্জল দর্শনের মূল গ্রন্থ হলো ‘যোগসূত্র’ বা ‘পাতঞ্জল সূত্র’।
পাতঞ্জল দর্শনের উপর একটি অতি মূল্যবান প্রাচীন ভাষ্যের নাম কী?
উত্তর : পাতঞ্জল দর্শনের উপর একটি অতি মূল্যবান প্রাচীন ভাষ্যের নাম ‘ব্যাসভাষ্য’।
‘ব্যাসভাষ্য’ নামক ভাষ্যটি কার রচিত?
উত্তর : ‘ব্যাসভাষ্য’ নামক ভাষ্যটি বেদব্যাস রচিত।
‘তত্ত্ব বৈশারদী’ এর রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘তত্ত্ব বৈশারদী’ এর রচয়িতা বাচস্পতি মিশ্র।
‘যোগবাতিক’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘যোগবাতিক’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন বিজ্ঞানভিক্ষু।
‘প্রামাণ্য টীকা’ এর রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘প্রামাণ্য টীকা’ এর রচয়িতা হলেন ব্যাসভাষ্য।
যোগদর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : ভোজরাজের ‘বৃত্তি’ ও রামানন্দ সরস্বতীর ‘যোগ মনিপ্রভা’ যোগদর্শনের দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
‘যোগসার সংগ্রহ’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘যোগসার সংগ্রহ’ গ্রন্থটির রচয়িতা বিজ্ঞানভিক্ষু।
‘পাতঞ্জলবৃত্তি’ গ্রন্থের প্রণেতা কে?
উত্তর : ‘পাতঞ্জলবৃত্তি’ প্রণেতা হলেন গণেশ দীক্ষিত।
‘পাতঞ্জলরহস্য’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘পাতঞ্জলরহস্য’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন রাঘবানন্দ।
‘যোগচন্দ্রিকা’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘যোগচন্দ্রিকা’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন অনন্ত।
আনন্দশিষ্যের যোগদর্শনের উপর রচিত গ্রন্থটির নাম লিখ।
উত্তর : আনন্দশিষ্যের যোগদানের উপর রচিত গ্রন্থটি হলো ‘যোগদ সুধাকর’।
‘যোগবৃত্তি সংগ্রহ’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘যোগবৃত্তি সংগ্রহ’ গ্রন্থটির রচয়িতা উদয়শঙ্কর।
‘যোগসূত্রবৃত্তি’ গ্রন্থের প্রণেতা কে?
উত্তর : ‘যোগসূত্রবৃত্তি’ গ্রন্থের প্রণেতা উমাপতি ত্রিপাঠি ।
‘যোগসূত্র বিবৃত্তি’ গ্রন্থের প্রণেতা কে?
উত্তর : ‘যোগসূত্র বিবৃত্তি’ গ্রন্থের প্রণেতা হলেন জ্ঞাননন্দ।
নারায়ণ ভিক্ষু প্রণীত একটি গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : নারায়ণ ভিক্ষু প্রণীত একটি গ্রন্থ হলো ‘যোগসূত্র গূঢ়ার্থদ্যোতিকা’ ।
ভবদেব প্রণীত একটি গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : ভরদেব প্রণীত একটি গ্রন্থের নাম হলো ‘পাতঞ্জলীয়ভিনব ভাষ্য’।
‘যোগসূত্রৌবৃত্তি টিপ্পন’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘যোগসূত্রৌবৃত্তি টিপ্পন’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ভবদেব।
‘পাতঞ্জলরহস্য প্রকাশ’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘পাতঞ্জলরহস্য প্রকাশ’ গ্রন্থটির রচয়িতা শ্রীধরানন্দযতি ।
‘যোগসূত্র ভাষ্য’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘যোগসূত্র ভাষ্য’ গ্রন্থটির রচয়িতা রামানুজকৃত।
‘যোগবৃত্তি’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘যোগবৃত্তি’ গ্রন্থের রচয়িতা শিবশঙ্কর ।
‘ভাস্বতী’ গ্রন্থটির রচয়িতা কারা?
উত্তর : ‘ভাস্বতী’ গ্রন্থটির রচয়িতা শ্রীমদ হরিহরানন্দ আরণ্য এবং শ্রমিদ ধমমেঘ আরণ।
পাতঞ্জল সূত্রে মোট কতটি সূত্র আছে?
উত্তর : পাতঞ্জল সূত্রে মোট ১৯৪টি সূত্র আছে।
পাতঞ্জল সূত্র কয়টি পদ বা পরিচ্ছেদে বিভক্ত?
উত্তর : পাতঞ্জল সূত্র চারটি পাদ বা পরিচ্ছেদে বিভক্ত।
পাতঞ্জল সূত্র প্রথম পরিচ্ছেদকে কী বলা হয়?
উত্তর : পাতঞ্জল সূত্রের প্রথম পরিচ্ছেদকে সমাধিপাদ বলা হয়।
সমাধিপাদ পরিচ্ছেদে যোগের কী বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর : সমাধিপাদ পরিচ্ছেদে যোগের লক্ষণ বর্ণিত হয়েছে।
অনেক জায়গায় সমাধিপাদকে কী নামে অভিহিত করা হয়েছে?
উত্তর : অনেক জায়গায় সমাধিপাদকে ‘যোগপাদ’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।
পাতঞ্জল সূত্রের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের নাম কী?
উত্তর : পাতঞ্জল সূত্রের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের নাম সাধানপাদ।
পাতঞ্জল সূত্রের তৃতীয় পরিচ্ছেদের নাম কী?
উত্তর : পাতঞ্জল সূত্রের তৃতীয় পরিচ্ছেদের নাম বিভূতিপাদ ।
পাতঞ্জল সূত্রের চতুর্থ পরিচ্ছেদের নাম কী?
উত্তর : পাতঞ্জল সূত্রের চতুর্থ পরিচ্ছেদের নাম কৈবল্যপাদ ।
যোগশাস্ত্র কয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত ও কী কী?
উত্তর : যোগশাস্ত্র চারটি অধ্যায়ে বিভক্ত। যথা : হেয়, হেয়-হেতু, হান ও হানো পায় ।
অনাগত দুঃখই কী?
উত্তর : অনাগত দুঃখই হেয় বা ত্যাজ্য ।
কোন ধাতু থেকে যোগ শব্দের উৎপত্তি?
উত্তর : ‘যুজ’ ধাতু থেকে যোগ শব্দের উৎপত্তি।
‘যুজ’ ধাতুর অর্থ কী?
উত্তর : ‘যুজ’ ধাতুর অর্থ ‘সংযোগ বিধান করা’ ও ‘চিত্ত সমাধান করা’ ।
পতঞ্জলির যোগসূত্রে যোগশব্দ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর : পতঞ্জলির যোগসূত্রে যোগশব্দ চিত্তবৃত্তির নিরোধ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
যোগ কী?
উত্তর : চিত্তের বৃত্তিগুলোকে একান্তভাবে রুদ্ধ করার নামই যোগ।
যোগদর্শন মতে, বন্ধনের কারণ কী?
উত্তর : যোগদর্শন মতে অবিদ্যা বন্ধনের কারণ।
যোগদর্শনের ভ্রান্তি সম্পর্কীয় মতবাদ কোনটি?
উত্তর : যোগদর্শনের ভ্রান্তি সম্পর্কীয় মতবাদ অন্যথাখ্যাতি বা বিপরীত খ্যাতি।
অন্যথাখ্যাতি কী?
উত্তর : একটি বস্তুকে অন্য একটি বস্তুরূপে উপলব্ধি করাই হলো অন্যথাখ্যাতি।
কোনগুলোকে যোগদর্শনে চিত্ত নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তর : সাংখ্যের তিনটি অন্তরিন্দ্রিয়, যথা : বুদ্ধি, অহংকার ও মনকে যোগদর্শনে চিত্ত নামে অভিহিত করা হয়।
যোগদর্শন পরিণামের কয়টি প্রকারভেদ স্বীকার করে।
উত্তর : যোগদর্শন পরিণামের তিনটি প্রকারভেদ স্বীকার করে।
যোগদর্শন মতে, মোক্ষ কী?
উত্তর : যোগদর্শন মতে, মোক্ষ হলো কৈবল্য বা আত্মার স্বরূপের উপলব্ধি।
সাংখ্য কী জন্য প্রতিবিম্ববাদ স্বীকার করেছেন?
উত্তর : সাংখ্য পুরুষকে বুদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রতিবিম্ববাদ স্বীকার করেছেন।
পাতঞ্জলি সাধারণত কোথায় চিত্তের কথা বলেছেন?
উত্তর : পাতঞ্জলি সাধারণত যোগসূত্রে চিত্তের কথা বলেছেন।
বৃত্তি কী?
উত্তর : বিষয়ের সঙ্গে সংযোগের ফলে চিত্তের বিষয়াকার প্রাপ্ত হওয়ার নামই বৃত্তি।
বৃত্তিকে সাধারণত কী নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তর : বৃত্তিকে সাধারণত জ্ঞান নামে অভিহিত করা হয়।
চিত্তবৃত্তি কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : চিত্তবৃত্তি পাঁচ প্রকার। যথা : প্রমাণ, বিপর্যয়, বিকল্প, নিদ্রা ও স্মৃতি।
প্রত্যক্ষ কী?
উত্তর : ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বাহ্যবস্তুর সংযোগ হবার পরে মনের মধ্যে সেই বস্তুর অনুরূপ যে বৃত্তি জন্মে সেই বৃত্তিই প্রত্যক্ষ ।
খ-বিভাগ
প্রশ্ন।১।যোগদর্শন কী?
প্রশ্ন।২।যোগদর্শনে কৈবল্যের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৩।যোগদর্শনে মনস্তত্ত্ব কী?
প্রশ্ন॥৪॥যোগ দর্শনে চিত্তের বৃত্তি কত প্রকার ও কী কী?
প্রশ্ন॥৫॥যোগদর্শনে ক্লেশ কত প্রকার ও কী কী?
প্রশ্ন॥৬॥যোগের অষ্ট অঙ্গগুলো কী কী?
প্রশ্ন॥৭॥যোগের অষ্ট অঙ্গ হিসেবে যম ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৮॥যোগের অষ্ট অঙ্গ হিসেবে নিয়ম ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৯।যোগের অষ্ট অঙ্গ হিসেবে আসন ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১০॥যোগের অষ্ট অঙ্গ হিসেবে প্রাণায়াম ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১১।যোগের অষ্ট অঙ্গ হিসেবে প্রত্যাহার ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১২৷৷যোগের অষ্ট অঙ্গ হিসেবে ধারণা ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৩৷৷যোগের অষ্ট অঙ্গ হিসেবে ধ্যান ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৪৷যোগের অষ্ট অঙ্গ হিসেবে সমাধি ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥ ১৫৷যোগের লক্ষণ সম্পর্কে লিখ।
প্রশ্ন॥১৬৷ যোগদর্শনে চিত্তের ভূমি ব্যাখ্যা কর।
প্ৰশ্ন৷১৭৷যোগ সাধনার উপযোগী অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৮৷যোগদর্শনের সম্প্রজ্ঞাত যোগ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১৯৷যোগদর্শনের অসম্প্রজ্ঞাত যোগ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷২০৷যোগদর্শনের ত্রিতাপ সম্পর্কে লিখ।
প্রশ্ন৷।২১।যোগদর্শনে ঈশ্বরের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন৷২২।যোগদর্শনে ঈশ্বরের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
গ-বিভাগ