সংক্ষেপে ILO -এর প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধর।

উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বিশ্বের অন্যতম পুরাতন এবং জাতিসংঘের সবচেয়ে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ILO বা আন্ত র্জাতিক শ্রম সংস্থা। এই প্রতিষ্ঠানটি সূচনালগ্ন থেকেই শ্রমিকদের বিভিন্ন অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে জাতিসংঘের কাছে এতbসমাদৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
→ ILO-র ইতিহাস : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে “লিগ অব নেশনস” এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে “আন্ত র্জাতিক শ্রম সংস্থা” প্রতিষ্ঠা হয়। ভার্সাই চুক্তি অনুযায়ী ‘লিগ অব নেশন্স’ এর স্বশাসিত সংস্থারূপে স্বীকৃতি লাভ করে। ‘লিগ অব নেশনস’ এর বিলুপ্তির পরও ILO ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৪৬ সালের ৯ অক্টোবর ILO-র সাথে চুক্তি হয়, যা ১৯৪৮ সালে কার্যকর হয়। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১৯৪৯ সালে চুক্তির শর্তাদি অনুমোদন পায় । বর্তমানে ILO অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ECOSOC) এর আওতাধীন জাতিসংঘের এক বিশেষ উদ্দেশ্যসাধন বা বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, যুগের পর যুগ শ্রমিকদের কষ্টের অবসানের বার্তা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা। এ সংস্থাটি শ্রমিকদের কল্যাণে সবর্দা নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে শ্রমিকরা আজ তাদের নায্য অধিকার পাচ্ছে।