ক-বিভাগ
সাংখ্য দর্শনের প্রবর্তক ও প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর : সাংখ্য দর্শনের প্রবর্তক ও প্রতিষ্ঠাতা হলেন মহর্ষি কপিলদেব।
মহর্ষি কপিলদেব এর নামানুসারে সাংখ্য দর্শন কী নামে পরিচিত?
উত্তর : মহর্ষি কপিলদেব এর নামানুসারে সাংখ্য দর্শন কপির দর্শন নামেও পরিচিত।
পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের অভিমতানুসায়ী মহর্ষি কপিলদেব কোন সময়কার?
উত্তর : পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের অভিমতানুযায়ী মহর্ষি কপিলদেব বুদ্ধদেবের পূর্ববর্তী।
কাকে আদি বিদ্বান বলা হয়?
উত্তর : মহর্ষি কপিলদেবকে আদি বিদ্বান বলা হয়।
মহর্ষি কপিলদেবকে আদি বিদ্বান বলা হয় কেন?
উত্তর : কথিত আছে, মহর্ষি কপিলদেবই সর্বপ্রথম নির্গুণ পুরুষতত্ত্ব সাক্ষাৎ করেছিলেন সে জন্য তাঁকে আদি বিদ্বান বলা হয়
ভাগবত মতে, মহর্ষি কপিলদেব কে?
উত্তর : ভাগবত মতে, মহর্ষি কপিলদেব বিষ্ণুর এক অবতার।
সাংখ্য দর্শনের উপর রচিত প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
উত্তর : সাংখ্য দর্শনের উপর রচিত প্রথম গ্রন্থ হলো ‘তত্ত্ব সমাস’।
‘তত্ত্ব সমাস’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘তত্ত্ব সমাস’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন মহর্ষি কপিলদেব
কোন গ্রন্থটি সাংখ্য তত্ত্বসূত্রের হীরকহার?
উত্তর : ‘তত্ত্ব সমাস’ গ্রন্থটি সাংখ্য তত্ত্বসূত্রের হীরকহার।
‘তত্ত্ব সমাস’ গ্রন্থে মোট কতটি সূত্র আছে?
উত্তর : ‘তত্ত্ব সমাস’ গ্রন্থে মোট তেইশটি সূত্র আছে।
সাংখ্য দর্শনের সমস্ত তত্ত্বকে অত্যন্ত সংক্ষেপে কোন গ্রন্থে সুসজ্জিত করা হয়েছে?
উত্তর : সাংখ্য দর্শনের সমস্ত তত্ত্বকে অত্যন্ত সংক্ষেপে ‘তত্ত্ব সমাস’ গ্রন্থে সুসজ্জিত করা হয়েছে।
‘তত্ত্ব সমাস’ গ্রন্থের বিস্তৃত ব্যাখ্যা কোনটি?
উত্তর : ‘তত্ত্ব সমাস’ গ্রন্থের বিস্তৃত ব্যাখ্যা ‘সাংখ্য প্রচবনসূত্র’।
‘সাংখ্য প্রচবনসূত্র’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘সাংখ্য প্রচবনসূত্র’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন মহর্ষি কপিলদেব।
কোন দর্শনকে ‘সেশ্বর সাংখ্য’ নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তর : যোগ দর্শনকে ‘সেশ্বর সাংখ্য’ নামে অভিহিত করা হয়।
মহর্ষি কপিলদেব ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করেন কী?
উত্তর : মহর্ষি কপিলদেব ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করেন নি।
ভারতীয় দর্শনের মধ্যে কোন দর্শনকে সবচেয়ে প্রাচীন বলে ধারণা করা হয়?
উত্তর : ভারতীয় দর্শনের মধ্যে সাংখ্য দর্শনকে সবচেয়ে প্রাচীন বলে ধারণা করা হয়।
অধ্যাপক গার্বে এর মতানুসারে কোন শতাব্দীতে সাংখ্য মতের উৎপত্তি?
উত্তর : অধ্যাপক গার্বে এর মতানুসারে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীতে সাংখ্য মতের উৎপত্তি।
‘বুদ্ধিচরিত’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘বুদ্ধিচরিত’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন বৌদ্ধ কবি অশ্বঘোষ।
‘ব্রহ্মসূত্র’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘ব্রহ্মসূত্র’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন বাদরায়ন।
সাংখ্য দর্শনের মূলগ্রন্থ কয়টি ও কী কী?
উত্তর : সাংখ্য দর্শনের মূলগ্রন্থ দুটি। যথা : (ক) ‘সমাসসূত্রম’ ও (খ) সূত্রষড়ধ্যায়ী’
আসুরি কে?
উত্তর : আসুরি হলেন মহর্ষি কপিলদেবের শিষ্য।
পঞ্চশিখ কার শিষ্য?
উত্তর : পঞ্চশিখ আসুরির শিষ্য ।
‘ষষ্ঠিতন্ত্র’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘ষষ্ঠিতন্ত্র’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন পঞ্চশিখাচার্য।
‘সাংখ্যকারিকা’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘সাংখ্যকারিকা’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ঈশ্বরকৃষ্ণ।
গৌড়পাদের একটি গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : গৌড়পাদের একটি গ্রন্থের নাম ‘সাংখ্যকারিকাভাষ্য’।
‘সাংখ্যতত্ত্বকৌমুদী’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘সাংখ্যতত্ত্বকৌমুদী’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন বাচস্পতি মিশ্র।
সাংখ্য দর্শনের ব্যাখ্যা সম্পর্কীয় দুটি গ্রন্থের নাম লিখ।
উত্তর : সাংখ্য দর্শনের ব্যাখ্যা সম্পর্কীয় দুটি গ্রন্থ হলো ‘তত্ত্ব সমাস’ ও ‘সাংখ্য-প্রদীপ’।
‘সাংখ্যতত্ত্বলোক’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘সাংখ্যতত্ত্বলোক’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন স্বামী হরিহরান্দ।
সাংখ্য দর্শনের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : তত্ত্বের সংখ্যা গণনার ভিত্তিতে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করা হলো সাংখ্য দর্শনের উদ্দেশ্য।
সাংখ্য দর্শনের নির্দিষ্ট তত্ত্বগুলোর সংখ্যা কত?
উত্তর : সাংখ্য দর্শনের নির্দিষ্ট তত্ত্বগুলোর সংখ্যা পঁচিশ।
‘সাংখ্য’ কাকে বলে?
উত্তর : যে শাস্ত্র পাঠ করলে সম্যক জ্ঞান লাভ করা যায় তাকে ‘সাংখ্য’ বলে।
সাংখ্য অথবা প্রসংখ্যান শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : সাংখ্য অথবা প্রসংখ্যান শব্দের অর্থ আত্মতত্ত্বকথন।
সাংখ্য দর্শন মতে, কী থেকে জগতের আবির্ভাব?
উত্তর : সাংখ্য দর্শন মতে, প্রকৃতি থেকে জগতের আবির্ভাব।
সাংখ্য দর্শনের মূল মতবাদ কোনগুলো?
উত্তর : সাংখ্য দর্শনের মূল মতবাদ প্রকৃতি ও পুরুষের দ্বৈতবাদ ।
সাংখ্য দর্শনের কোন মতবাদকে সৎকার্যবাদ নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তর : সাংখ্য দর্শনের কার্যকারণবাদকে সৎকার্যবাদ নামে অভিহিত করা হয়।
অসৎকার্যবাদ এর অপর নাম কী?
উত্তর : অসৎকার্যবাদ এর অপর নাম আরম্ভবাদ।
সাংখ্য দার্শনিকরা কোন মতবাদে বিশ্বাসী?
উত্তর : সাংখ্য দার্শনিকরা সৎকার্যবাদে বিশ্বাসী।
সাংখ্য দার্শনিকরা কিভাবে সৎকার্যবাদ প্রতিষ্ঠিত করেন?
উত্তর : সাংখ্য দার্শনিকরা ন্যায় বৈশেষিক এবং বৌদ্ধ মতবাদ খণ্ডন করে সৎকার্যবাদ প্রতিষ্ঠিত করেন।
সৎকার্যবাদ কী?
উত্তর : কোন কার্য উৎপন্ন হওয়ার পূর্বে সেটি উপাদান কারণে বিদ্যমান থাকে। এ কার্যকারণতত্ত্বকে সৎকার্যবাদ বলা হয়।
সৎকার্যবাদের কয়টি রূপ ও কী কী?
উত্তর : সৎকার্যবাদের দুটি রূপ। যথা : (ক) পরিণামবাদ ও (খ) বিবর্তনবাদ ।
সাংখ্য দার্শনিকরা কোন মতবাদের সমর্থক?
উত্তর : সাংখ্য দার্শনিকরা পরিণামবাদের সমর্থক।
চার্বাক, বৌদ্ধ, জৈন এবং ন্যায় বৈশেষিকদের মতে, এ জগতের উপাদান কারণ কোনগুলো।
উত্তর : চার্বাক, বৌদ্ধ, জৈন এবং ন্যায় বৈশেষিকদের মতে, এ জগতের উপাদান কারণ হচ্ছে ক্ষিতি, অপ, তেজ
এবং মরুৎ এর পরমাণু।
মহৎ থেকে পঞ্চভূত পর্যন্ত কয়টি পদার্থ ব্যক্ত?
উত্তর : মহৎ থেকে পঞ্চভূত পর্যন্ত তেইশটি পদার্থ ব্যক্ত।
ব্যক্ত পদার্থমাত্রেরই কী আছে?
উত্তর : ব্যক্ত পদার্থমাত্রেরই উপাদান কারণ আছে।
প্রকৃতি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : প্রকৃতি শব্দের অর্থ যা বিশিষ্ট প্রকারে পরিণাম প্রাপ্ত হয়।
প্রকৃতি জগতের কেমন উপাদান?
উত্তর : প্রকৃতি হলো জগতের চরম উপাদান।
সৃষ্টির পূর্বে জগৎ কী অবস্থায় বিরাজ করে?
উত্তর : সৃষ্টির পূর্বে জগৎ অব্যক্ত অবস্থায় বিরাজ করে।
জগৎ এর অব্যক্ত অবস্থার নাম কী?
উত্তর : জগৎ এর অব্যক্ত অবস্থার নাম প্রকৃতি।
অব্যক্ত কী?
উত্তর : যা ব্যক্ত নয়, মানুষের ইন্দ্রিয়ের কাছে প্রকাশিত নয়, তাই অব্যক্ত।
কোন তিন গুণের সাম্যাবস্থা প্রকৃতি?
উত্তর : সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এ তিন গুণের সাম্যাবস্থা প্রকৃতি।
সাধারণত গুণ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : সাধারণত গুণ বলতে ধর্ম, অর্থাৎ Quality বা Attribute বুঝায় ।
ন্যায় বৈশেষিক মতে, কাকে গুণ বলা হয়েছে?
উত্তর : ন্যায় বৈশেষিক মতে, যা দ্রব্যকে আশ্রয় করে থাকে তাকে গুণ বলা হয়েছে।
খ-বিভাগ
প্রশ্ন।১।সাংখ্য দর্শন কী?
প্রশ্ন।২।সাংখ্য দর্শনে বিবর্তনের কারণ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৩।সাংখ্য দর্শন মতে পুরুষ ও প্রকৃতির সংযোগ কীভাবে সম্ভব? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৪।সাংখ্য দর্শনে পঞ্চমহাভূতের অভিব্যক্তিগুলো আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৫।সাংখ্য বিবর্তনবাদ কী উদ্দেশ্যমূলক? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৬।সাংখ্য দর্শন অনুসারে পুরুষ-এর স্বরূপ বা আত্মার ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৭।সাংখ্য দর্শন অনুসারে পুরুষ-এক না বহু সংক্ষেপে লিখ ।
প্রশ্ন।৮৷সাংখ্য দর্শন মতে প্রকৃতির স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৯॥সাংখ্য দর্শন মতে প্রকৃতির অস্তিত্বের প্রমাণগুলো লিখ
প্রশ্ন।১০।সাংখ্য দর্শন মতে প্রকৃতির গুণগুলো কী কী?
প্রশ্ন৷১১৷৷সাংখ্য দর্শন মতে স্বরূপ পরিণাম ও বিরূপ পরিণাম সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন৷১২।পুরুষের অস্তিত্ব প্রমাণে সাংখ্য যুক্তিগুলো সংক্ষেপে লিখ ।
প্রশ্ন।১৩।সাংখ্য দর্শনের কার্যকারণবাদ বলতে কী বুঝ?
প্রশ্ন।১৪।সাংখ্য জ্ঞানতত্ত্ব সম্পর্কে লিখ।
প্রশ্ন।১৫।সাংখ্য দর্শনে প্রত্যক্ষের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
প্রশ্ন।১৬।সাংখ্য ঈশ্বরতত্ত্ব সংক্ষেপে লিখ।
প্ৰশ্ন৷১৭।অনুমান সম্পর্কে সাংখ্য দার্শনিকদের অভিমত ব্যাখ্যা কর।।
প্রশ্ন॥১৮।সাংখ্য দর্শনে শব্দ কী? শব্দের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
প্রশ্ন।১৯।সাংখ্য মতে যথার্থতা এবং অযথার্থতা বলতে কী বুঝ?
গ-বিভাগ
প্রশ্ন॥১॥সাংখ্য দর্শনে বিবর্তনবাদ ব্যাখ্যা কর। এটি কী উদ্দেশ্যমূলক?
প্রশ্ন।২।সাংখ্য দর্শন অনুসারে পুরুষ এর স্বরূপ বা আত্মার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। পুরুষ বা আত্মার অস্তিত্ব প্রমাণে সাংখ্যদের যুক্তিগুলো তুলে ধর।
প্রশ্ন।৩।সাংখ্য দর্শন মতে পুরুষ এর স্বরূপ বা আত্মার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। গুরুষ কী এক না বহু? সমালোচনাসহ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৪॥সাংখ্য দর্শন অনুসারে পুরুষ বা আত্মার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। পুরুষ ও প্রকৃতির সংযোগ কীভাবে সম্ভব? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৫।সাংখ্য দর্শন মতে প্রকৃতির স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। প্রকৃতির অস্তিত্ব প্রমাণে সাংখ্যদের যুক্তিগুলো আলোচনা কর। এ প্রসঙ্গে প্রকৃতির গুণগুলো আলোচনা কর।
প্রশ্ন৷৬৷সাংখ্য দর্শন মতে পুরুষের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। পুরুষের অস্তিত্ব প্রমাণে সাংখ্যদের যুক্তিগুলো আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥৭॥সাংখ্য দর্শনের কার্যকারণ মতবাদ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥৮॥সাংখ্য দর্শনের বিবর্তনতত্ত্ব আলোচনা কর এবং মতামত দাও।
প্রশ্ন॥৯॥সাংখ্য জ্ঞানতত্ত্ব সম্পর্কে লিখ। জ্ঞানের যথার্থতা এবং অযথার্থতা বলতে কী বুঝ?
প্রশ্ন।১০।অনুমান সম্পর্কে সাংখ্য দার্শনিকদের অভিমত ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন॥১১৷সাংখ্য দর্শন মতে পুরুষ ও প্রকৃতি কী? পুরুষ ও প্রকৃতির সংযোগ কীভাবে সম্ভব? আলোচনা কর।
প্রশ্ন।১২।সাংখ্য ঈশ্বরতত্ত্ব আলোচনা কর।
প্রশ্ন॥১৩।সাংখ্য দর্শন মতে প্রকৃতির স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। প্রকৃতির অস্তিত্ব প্রমাণে সাংখ্যদের যুক্তিগুলো আলোচনা কর। এ প্রসঙ্গে প্রকৃতির গুণগুলো আলোচনা কর।