অথবা, শ্রম বিভাগের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
উত্তর : ভূমিকা: উৎপাদন পদ্ধতিকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত করে শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের মধ্যে কাজ বণ্টন করে দেয়াকে শ্রমবিভাগ বলে। আধুনিক শ্রমবিভাগের বিস্তৃতি এত ব্যাপক যে এতে উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এবং এতে জীবন যাত্রার মানও যথেষ্ট উন্নত হয়েছে।
শ্রমবিভাগের সুবিধাঃ শ্রম বিভাগের ফলে যে সব সুবিধা অর্জিত হয় সেগুলো নিম্নরূপঃ
১. যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ বণ্টনঃ শ্রম বিভাগের ফলে প্রত্যেক শ্রমিককে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজে নিয়োগ করা । ফলে উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
যায়।
২. দক্ষতা : কর্মনৈপুণ্য বৃদ্ধিঃ উৎপাদন ক্ষেত্রে শ্রমবিভাগ প্রবর্তনের ফলে একজন শ্রমিক কোন কাজ বারবার করে থাকে। ফলে সে ক্রমান্বয়ে ঐ কাজে দক্ষ ও নিপুণ হয়ে উঠে।
৩. উৎপাদন বৃদ্ধিঃ শ্রম বিভাগের ফলে শ্রমিকের উৎপাদন ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
৪. শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধিঃ শ্রম বিভাগের ফলে শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও উৎপাদন বাড়ে। ফলে শ্রমিকের চাহিদা ও মজুরি বৃদ্ধি পায়।
৫. শিক্ষার সময় সংক্ষেপঃ শ্রম বিভাগের ফলে একটি মাত্র কাজ করতে হয় বলে শ্রমিকের ঐ কাজ শিখতে কম সময় লাগে।
৬. নতুন যন্ত্র আবিষ্কারঃ শ্রম বিভাগের ফলে একজন শ্রমিক ঐ কাজে এত বেশি পারদর্শী হয় যে, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা দ্বারা এক সময়ে সে নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করে ফেলে।
৭. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিঃ শ্রম বিভাগের ফলে কাজের সংখ্যা ও প্রকার বৃদ্ধির মাধ্যমে বৃহদায়তন কলকারখানায় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় এবং বেকারত্বের হার কমে যায় হ্রাস পায়। ফলে দ্রব্য মূল্যও হ্রাস পায়।
৮. দ্রব্য মূল্য হ্রাস: শ্রম বিভাগের ফলে অল্প সময়ে উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে প্রান্তিক ও গড় ব্যয় এছাড়াও যে সকল সুবিধা পাওয়া যায় তা হল-
৯. বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ে।
১০. যন্ত্রপাতির সদ্ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
১১. শ্রমের গতিশীলতা বাড়ে।
১২. জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়।
১৩। জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায়।
১৪. কাজের আনন্দ ও তৃপ্তি বাড়ে।
১৫. সঠিক লোক নিয়োগ করা যায়।
১৬. বৃহদায়তন উৎপাদন সম্ভব।
১৭. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার।
১৮. সমবায় মনোভাবের প্রসার।
১৯. সস্তায় উন্নতমানের দ্রব্য উৎপাদন।