উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ জাতীয় শিশুনীতি শিশুদের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। বাংলাদেশের শিশুদের কল্যাণে শিশুনীতি বাস্তবে কতটুকু প্রয়োগ করা হয় এ প্রশ্ন সকলেরই। অর্থাৎ শিশুনীতির পদক্ষেপগুলো পুরোটাই বাস্ত বায়ন হচ্ছে না একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সুপারিশ প্রদান করা হলো :
→ শিশু নীতির উন্নয়নের সুপারিশমালাগুলো ঃ
১. ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা ঃ সকল শিশু যাতে এ নীতির সুবিধা ভোগ করতে পারে সেজন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
২. বিভিন্ন পরিকল্পনায় শিশু কল্যাণ কর্মসূচি ঃ শিশু কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বার্ষিক এ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার যথাযথভাবে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিশুর উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৩. শিশু অধিকারের বাস্তবায়ন ঃ শিশু অধিকার শুধু কাগজে-কলমে থাকলে চলবে না, তা বাস্তব রূপ দিতে হবে। অর্থাৎ শিশু যেন তার অধিকার ভোগ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. শিশুর সুযোগ সুবিধা পৌঁছানোর ব্যবস্থা : শিশুর সুযোগ-সুবিধা শুধু নীতিতে থাকলেই হবে না। সকল শিশুর নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা ও নীতির মধ্যে উল্লেখ থাকতে হবে।
৫. পৃথক বাজেট প্রদান ঃ শিশুনীতি বাস্তবায়নে দেশের আর্থিক বাজেটে আলাদা থাকতে হবে। উন্নয়ন বাজেট নীতি বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক বরাদ্দ অত্যাবশ্যক।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, উপর্যুক্ত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুনীতিকে বাস্তব রূপদান করা যায়। এ জন্য সরকারের অর্থ, জনবল, কর্মসূচি প্রভৃতি সব কিছুই পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা অপরিহার্য।