উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ শিশুকল্যাণ বলতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত সেসব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও দৈহিক কার্যক্রমকে বুঝায় যেগুলো সকল শিশুর দৈহিক, বুদ্ধি বৃত্তিক, মানসিক ও আবেগের উন্নতি ও সার্বিক কল্যাণসাধনে নিয়োজিত। শিশুকল্যাণ এতিম, অসহায় অনাথদের জন্য শিশু স্বাস্থ্য প্রভৃতি সেবা প্রদান করে থাকে।
শিশুকল্যাণ বাংলাদেশের অগণিত শিশুদের জীবনের মোড় পরিবর্তন করে দিয়েছে। শিশুকল্যাণে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত । শিশুকল্যাণের সার্বিক কর্মসূচি মূলত শিশুদের কল্যাণই সম্পাদিত হয়ে থাকে।
শিশু কল্যাণের বৈশিষ্ট্যগুলো ঃ শিশুকল্যাণের উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো একে অন্যান্য বিষয় থেকে স্বাতন্ত্র্যবোধ দান করেছে। নিম্নে সেগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করার প্রয়াস চালানো হলো :
১. জন্মপূর্ব থেকে কৈশোর পর্যন্ত রিস্তৃত : শিশুকল্যাণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি জন্মপূর্ব থেকে শুরু হয়ে শিশুর কৈশোর কাল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। শিশুকল্যাণের কর্মসূচি শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন শুরু হয়ে যায় আর শিশু কৈশোরে উপনীত হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে।
২. দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিকাশে নিয়োজিত ঃ শিশু সমাজকল্যাণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটির শিশুদের দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিকাশে নিয়োজিত থাকা। শিশুরা যাতে এদিকগুলোর পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাদি থাকে এতে।
৩. প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, সরকারি বা বেসরকারি ঃ শিশুকল্যাণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিচালিত হতে পারে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ের অর্থায়নে ও উদ্যোগে। যা শিশুকল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
৪. অধিকার, বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তি : বাংলাদেশের শিশুকল্যাণ কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিশুদেরকে সকল প্রকার অধিকারে বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তিদানের ব্যবস্থা করা। ফলে শিশুরা সুষ্ঠুভাবে জীবনে বিকশিত হতে পারে।
৫. মাতৃমঙ্গলকে অন্তর্ভুক্তকরণ ঃ শিশুকল্যাণ মাতৃমঙ্গলকে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে। কেননা গর্ভাবস্থায় মায়ের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমেই শিশুর কল্যাণ সাধন সম্ভবপর হয়। যা শিশুকল্যাণকে তার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে থাকে।
৬. শ্রেণি বৈষম্য দূরীকরণ ঃ শিশুকল্যাণ শিশুদের সর্বপ্রকার শ্রেণি বৈষম্যের উর্ধ্বে স্থান দেয়। তাই শিশুকল্যাণ কর্মসূচি জাতি, বর্ণ, ধর্ম, নির্বিশেষে ধনী, দরিদ্র্য, দুস্থ, সুস্থ, অসুস্থ সকল শিশুরই সামগ্রিক কল্যাণ সাধনের নিশ্চয়তা বিধান করে।
৭. সুস্থ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা : সুস্থ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা ও শিশুকল্যাণ কর্মসূচির আহরণটি বৈশিষ্ট্য। আর এজন্য শিশুকন – কর্মসূচিতে শিশুদের জন্য বই পড়া, গান, নৃত্য প্রভৃতি চারিত্র গঠনমূলক কাজগুলো করা হয়।
৮. শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটায় ঃ শিশুর যথার্থ সামাজিকীকরণ ঘটাতে সর্বাপেক্ষা ভূমিকা রাখে শিশুকল্যাণ কর্মসূচি। আর,তাই শিশুকল্যাণে বিভিন্ন ব্যবস্থাদি সামাজিকীকরণ সম্পর্কিত গৃহীত হয়ে থাকে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, শিশুকল্যাণ হলো এক যুগান্তকারী কর্মসূচি। শিশুকল্যাণ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত হতে দেখা যায়। মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে শৈশবকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল শিশুদের সার্বিক কল্যাণ সাধনের নিমিত্তে কাজ করে থাকে। শিশুকল্যাণের বৈশিষ্ট্যগুলো এর কার্যক্রম ও স্বতন্ত্র অস্তিত্বের পরিচয় তুলে ধরতে সাহায্য করে। হাজার হাজার এতিম, অসহায়, শিশু দৈহিক, মানসিক, সামাজিক বিকাশ ঘটাতে শিশুকল্যাণের কর্মসূচিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে শিশুদের শিশুকল্যাণ কর্মসূচি অত্যন্ত তাৎপর্যময়
শিশুকল্যাণের বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ।
উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ শিশুকল্যাণ বলতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত সেসব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও দৈহিক কার্যক্রমকে বুঝায় যেগুলো সকল শিশুর দৈহিক, বুদ্ধি বৃত্তিক, মানসিক ও আবেগের উন্নতি ও সার্বিক কল্যাণসাধনে নিয়োজিত। শিশুকল্যাণ এতিম, অসহায় অনাথদের জন্য শিশু স্বাস্থ্য প্রভৃতি সেবা প্রদান করে থাকে।
শিশুকল্যাণ বাংলাদেশের অগণিত শিশুদের জীবনের মোড় পরিবর্তন করে দিয়েছে। শিশুকল্যাণে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত । শিশুকল্যাণের সার্বিক কর্মসূচি মূলত শিশুদের কল্যাণই সম্পাদিত হয়ে থাকে।
শিশু কল্যাণের বৈশিষ্ট্যগুলো ঃ শিশুকল্যাণের উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো একে অন্যান্য বিষয় থেকে স্বাতন্ত্র্যবোধ দান করেছে। নিম্নে সেগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করার প্রয়াস চালানো হলো :
১. জন্মপূর্ব থেকে কৈশোর পর্যন্ত রিস্তৃত : শিশুকল্যাণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি জন্মপূর্ব থেকে শুরু হয়ে শিশুর কৈশোর কাল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। শিশুকল্যাণের কর্মসূচি শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন শুরু হয়ে যায় আর শিশু কৈশোরে উপনীত হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে।
২. দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিকাশে নিয়োজিত ঃ শিশু সমাজকল্যাণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটির শিশুদের দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিকাশে নিয়োজিত থাকা। শিশুরা যাতে এদিকগুলোর পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাদি থাকে এতে।
৩. প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, সরকারি বা বেসরকারি ঃ শিশুকল্যাণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিচালিত হতে পারে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ের অর্থায়নে ও উদ্যোগে। যা শিশুকল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
৪. অধিকার, বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তি : বাংলাদেশের শিশুকল্যাণ কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিশুদেরকে সকল প্রকার অধিকারে বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তিদানের ব্যবস্থা করা। ফলে শিশুরা সুষ্ঠুভাবে জীবনে বিকশিত হতে পারে।
৫. মাতৃমঙ্গলকে অন্তর্ভুক্তকরণ ঃ শিশুকল্যাণ মাতৃমঙ্গলকে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে। কেননা গর্ভাবস্থায় মায়ের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমেই শিশুর কল্যাণ সাধন সম্ভবপর হয়। যা শিশুকল্যাণকে তার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে থাকে।
৬. শ্রেণি বৈষম্য দূরীকরণ ঃ শিশুকল্যাণ শিশুদের সর্বপ্রকার শ্রেণি বৈষম্যের উর্ধ্বে স্থান দেয়। তাই শিশুকল্যাণ কর্মসূচি জাতি, বর্ণ, ধর্ম, নির্বিশেষে ধনী, দরিদ্র্য, দুস্থ, সুস্থ, অসুস্থ সকল শিশুরই সামগ্রিক কল্যাণ সাধনের নিশ্চয়তা বিধান করে।
৭. সুস্থ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা : সুস্থ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা ও শিশুকল্যাণ কর্মসূচির আহরণটি বৈশিষ্ট্য। আর এজন্য শিশুকন – কর্মসূচিতে শিশুদের জন্য বই পড়া, গান, নৃত্য প্রভৃতি চারিত্র গঠনমূলক কাজগুলো করা হয়।
৮. শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটায় ঃ শিশুর যথার্থ সামাজিকীকরণ ঘটাতে সর্বাপেক্ষা ভূমিকা রাখে শিশুকল্যাণ কর্মসূচি। আর,তাই শিশুকল্যাণে বিভিন্ন ব্যবস্থাদি সামাজিকীকরণ সম্পর্কিত গৃহীত হয়ে থাকে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, শিশুকল্যাণ হলো এক যুগান্তকারী কর্মসূচি। শিশুকল্যাণ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত হতে দেখা যায়। মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে শৈশবকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল শিশুদের সার্বিক কল্যাণ সাধনের নিমিত্তে কাজ করে থাকে। শিশুকল্যাণের বৈশিষ্ট্যগুলো এর কার্যক্রম ও স্বতন্ত্র অস্তিত্বের পরিচয় তুলে ধরতে সাহায্য করে। হাজার হাজার এতিম, অসহায়, শিশু দৈহিক, মানসিক, সামাজিক বিকাশ ঘটাতে শিশুকল্যাণের কর্মসূচিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে শিশুদের শিশুকল্যাণ কর্মসূচি অত্যন্ত তাৎপর্যময়