উত্তর : ভূমিকা : শায়েস্তা খান ছিলেন সম্রাজ্ঞী মমতাজ মহলের।ভ্রাতা এবং নূরজাহান বেগমের ভাই আসফ খানের পুত্র। মুঘল
সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকালে শায়েস্তা খান বাংলার সুবেদার ছিলেন। বাংলার উন্নয়নে শায়েস্তা খানের ভূমিকা অপরিসীম।
শায়েস্তা খানের শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থা : শায়েস্তা খান ছিলেন বাংলার সুবেদার। ১৬৭৮-৭৯ খ্রিস্টাব্দে এক বছরে সামান্য বেশি সময়ের বিরতিসহ দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। নিম্নে শায়েস্তা খানের শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থা তুলে ধরা হলো :
১. দ্রব্যমূল্য : শায়েস্তা খানের সময় বাংলায় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য সস্তা ছিল। ঐ সময় ১ টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেত। সাধারণ
জনগণ খেয়ে পড়ে সুখ-স্বাচ্ছন্দ জীবন অতিবাহিত করে।
২. শিক্ষা ব্যবস্থা : শায়েস্তা খানের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত ছিল। এ সময় বহু পণ্ডিত, মনীষী, কবি ও সাহিত্যিক বাংলায় আসেন। শায়েস্তা খান কবি ও সাহিত্যিকদের সমাদর করতেন। তিনি নিজে ও একজন কবি ছিলেন। তিনি ফরাসি ভাষায় কবিতা লিখতেন।
৩. পেশা : শায়েস্তা খানের সময় সমাজে বিভিন্ন পেশার লোক বাস করত। সমাজে কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী লোক বাস করত। তারা সুখে-শান্তিতে সমাজে বসবাস করত।
৪. জনকল্যাণমূলক কাজ : শায়েস্তা খান বাংলার উন্নয়নে অনেক কাজ করেন। ঢাকার চকবাজারের ছোট কাটরা শায়েস্তা খান নির্মাণ করেন। ১৬৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হোসেনী দালান নির্মাণ করেন। লালবাগ দুর্গের মাঝে তার কন্যা পরীবিবির কবরের উপর একটা ইমারত তৈরি করেন। শায়েস্তা খান ষাটগম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন।
৫. সামাজিক শান্তি : শায়েস্তা খান সামাজিক শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন। তিনি কর্মচারীদের কল্যাণে জোরদশিমনক
কর বন্ধ করেন। যাকাত আদায়ের ব্যবস্থা করেন। সমাজে গরীবদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত হয়েই শায়েস্তা খান বাংলায় শান্তি ও শৃংঙ্খলা বজায় রাখেন। বিদ্রোহ দমন, ঐক্য ও নিরাপত্তা সংহত করেন এবং মুঘল
শাসনের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। সমাজে শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে শায়েস্তা খান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সময়ে পণ্যদ্রব্যের মূল্যে সমতা ছিল।
শায়েস্তা খানের শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : শায়েস্তা খান ছিলেন সম্রাজ্ঞী মমতাজ মহলের।ভ্রাতা এবং নূরজাহান বেগমের ভাই আসফ খানের পুত্র। মুঘল
সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকালে শায়েস্তা খান বাংলার সুবেদার ছিলেন। বাংলার উন্নয়নে শায়েস্তা খানের ভূমিকা অপরিসীম।
শায়েস্তা খানের শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থা : শায়েস্তা খান ছিলেন বাংলার সুবেদার। ১৬৭৮-৭৯ খ্রিস্টাব্দে এক বছরে সামান্য বেশি সময়ের বিরতিসহ দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। নিম্নে শায়েস্তা খানের শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থা তুলে ধরা হলো :
১. দ্রব্যমূল্য : শায়েস্তা খানের সময় বাংলায় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য সস্তা ছিল। ঐ সময় ১ টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেত। সাধারণ
জনগণ খেয়ে পড়ে সুখ-স্বাচ্ছন্দ জীবন অতিবাহিত করে।
২. শিক্ষা ব্যবস্থা : শায়েস্তা খানের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত ছিল। এ সময় বহু পণ্ডিত, মনীষী, কবি ও সাহিত্যিক বাংলায় আসেন। শায়েস্তা খান কবি ও সাহিত্যিকদের সমাদর করতেন। তিনি নিজে ও একজন কবি ছিলেন। তিনি ফরাসি ভাষায় কবিতা লিখতেন।
৩. পেশা : শায়েস্তা খানের সময় সমাজে বিভিন্ন পেশার লোক বাস করত। সমাজে কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী লোক বাস করত। তারা সুখে-শান্তিতে সমাজে বসবাস করত।
৪. জনকল্যাণমূলক কাজ : শায়েস্তা খান বাংলার উন্নয়নে অনেক কাজ করেন। ঢাকার চকবাজারের ছোট কাটরা শায়েস্তা খান নির্মাণ করেন। ১৬৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হোসেনী দালান নির্মাণ করেন। লালবাগ দুর্গের মাঝে তার কন্যা পরীবিবির কবরের উপর একটা ইমারত তৈরি করেন। শায়েস্তা খান ষাটগম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন।
৫. সামাজিক শান্তি : শায়েস্তা খান সামাজিক শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন। তিনি কর্মচারীদের কল্যাণে জোরদশিমনক
কর বন্ধ করেন। যাকাত আদায়ের ব্যবস্থা করেন। সমাজে গরীবদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত হয়েই শায়েস্তা খান বাংলায় শান্তি ও শৃংঙ্খলা বজায় রাখেন। বিদ্রোহ দমন, ঐক্য ও নিরাপত্তা সংহত করেন এবং মুঘল
শাসনের সীমানা সম্প্রসারণ করেন। সমাজে শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে শায়েস্তা খান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সময়ে পণ্যদ্রব্যের মূল্যে সমতা ছিল।