উত্তর : ভূমিকা : বৈষ্ণব ধর্মের সংস্কারক রামানন্দ উত্তর ভারতের কন্যাকুঞ্জে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দক্ষিণ ভারতে গিয়ে রামানুজের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং উত্তর ভারতে ভক্তিবাদ চেতনাকে ছড়িয়ে দেন। নিম্নে রামানন্দের পরিচয় তুলে ধরা হলো-
রামানন্দের পরিচয় : বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক রামানুজের শিষ্য রামানন্দ এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম ও মৃত্যু কাল
সম্পর্কে মতদ্বৈততা আছে। ডক্টর ভান্ডারকরের মতে, তিনি ১২৯৯- ১৩০০ সালে জন্ম গ্রহণ করেছেন এবং ১৪১১ সালে মারা যান। তিনি
কনৌজী ব্রাহ্মণ পরিবার সম্ভুত ছিল। সময়ের দিক থেকে বিচার করলে রামানন্দ ছিলেন সর্ব প্রথম ভক্তিবাদের প্রচারক। তিনি রাম ও
সীতার উপাসক ছিলেন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে তিনি সকলকেই তাঁর শিষ্যরূপে গ্রহণ করতেন। তিনি উত্তর ভারতের যাবতীয় তীর্থস্থান ভ্রমণ করেছিলেন। কিন্তু হিন্দু ধর্মের গোঁড়ামি তিনি পছন্দ করতেন না। ভগবৎ প্রেমে ছোট-বড়, ব্রাহ্মণ-অব্রাহ্মণ বা হিন্দু-মুসলিমগদের
মধ্যে কোনো প্রভেদ আছে একথা তিনি স্বীকার করতেন না।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, কবির ছিলেন রামানন্দের শিষ্যদের মধ্যে প্রধান। সহানুভূতি প্রদর্শন, ধর্মপালন.প্রভৃতি বিষয়ে সংস্কৃত ভাষার স্থলে স্থানীয় কথ্য ভাষার ব্যবহার ছিল রামানন্দের ধর্মপ্রচারের মূল বৈশিষ্ট্য। রামামন্দ হিন্দি ভাষায় তার ধর্ম প্রচার করতেন। পরবর্তীতে তার শিষ্য কবির বড় একটি সম্প্রদায় তৈরি করতে সক্ষম হন, যারা ‘কবির পন্থি’ নামে পরিচিত হন। ভক্তিবাদী আন্দোলনকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় এবং শান্তি ও সর্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে অনেকটা সফল হন।