রাজনৈতিক কৃষ্টি হলো একটি সমাজের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলির চারপাশে গড়ে ওঠা রীতিনীতি, বিশ্বাস এবং অনুশীলনগুলির একটি সেট। এটি একটি সমাজের রাজনৈতিক জীবনকে প্রভাবিত করে এবং সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হতে পারে।
আধুনিক কৃষ্টি হলো একটি সমাজের সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্যে বিকাশিত রীতিনীতি, বিশ্বাস এবং অনুশীলনগুলির একটি সেট। এটি প্রায়শই প্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতির দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
রাজনৈতিক কৃষ্টি আধুনিক কৃষ্টি নয় কারণ এটি প্রায়শই ঐতিহ্যগত রীতিনীতি এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক দেশে রাজনৈতিক কৃষ্টিতে রাজতন্ত্র বা ধর্মীয় কর্তৃত্বের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও, অনেক দেশে রাজনৈতিক কৃষ্টিতে ক্ষমতার উপর জোর দেওয়া হয়, যা আধুনিক কৃষ্টির প্রায়শই বৈশিষ্ট্য নয়।
যাইহোক, রাজনৈতিক কৃষ্টিও গতানুগতিক এবং মিশ্র হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক দেশে রাজনৈতিক কৃষ্টিতে ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি এবং বিশ্বাসের পাশাপাশি আধুনিক ধারণা এবং প্রতিষ্ঠানগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে রাজনৈতিক কৃষ্টিতে ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি এবং বিশ্বাসের পাশাপাশি গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো আধুনিক ধারণাগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রাজনৈতিক কৃষ্টির গতানুগতিক এবং মিশ্র প্রকৃতি বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে। একটি কারণ হলো রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রায়শই একটি দীর্ঘ ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে থাকে। এই ইতিহাসে ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি এবং বিশ্বাসগুলি প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরেকটি কারণ হলো রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রায়শই একটি সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই দ্বন্দ্বগুলি প্রায়শই ঐতিহ্যবাহী এবং আধুনিক ধারণাগুলির মধ্যে দ্বন্দ্বের দিকে পরিচালিত করে।
রাজনৈতিক কৃষ্টির গতানুগতিক এবং মিশ্র প্রকৃতি বিভিন্ন উপায়ে একটি সমাজের রাজনৈতিক জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। একটি উপায় হলো এটি রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সমাজে যদি রাজনৈতিক কৃষ্টিতে ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি এবং বিশ্বাসের শক্তিশালী ভূমিকা থাকে, তাহলে আধুনিক ধারণাগুলির উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে কঠিন হতে পারে।
আরেকটি উপায় হলো এটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সমাজে যদি রাজনৈতিক কৃষ্টিতে ঐতিহ্যবাহী এবং আধুনিক ধারণাগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকে, তাহলে এটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, রাজনৈতিক কৃষ্টি আধুনিক কৃষ্টি নয় কারণ এটি প্রায়শই ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে থাকে। যাইহোক, রাজনৈতিক কৃষ্টিও গতানুগতিক এবং মিশ্র হতে পারে। এই গতানুগতিক এবং মিশ্র প্রকৃতি একটি সমাজের রাজনৈতিক জীবনকে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করতে পারে।
রাজনৈতিক কৃষ্টি এবং আধুনিক কৃষ্টি দুটি বিভিন্ন ধারার মধ্যে মিশ্রণ থাকতে পারে এবং এটি গতানুগতিক মিশ্র কৃষ্টি আলোচনা করা সহজ নয়, কারণ এটি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ও আর্থিক দক্ষতা, আদর্শ, এবং ঐতিহাসিক পার্থক্যের সাথে সংযোজিত থাকে।
রাজনৈতিক কৃষ্টি হোল এমন কৃষ্টি যা রাজনৈতিক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং সাধারণভাবে প্রজন্মের সামরিক, আর্থিক, এবং সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে। রাজনৈতিক কৃষ্টি মূলত সরকারের রাজনৈতিক আদর্শ, পর্যায়ক্রম, এবং আচরণের মধ্যে সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দলের দলিত ধারার মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যবহৃত হতে পারে।
আধুনিক কৃষ্টি, অন্যতম উল্লেখযোগ্যভাবে, কৃষ্টি বিষয়ক প্রগতিশীল তত্ত্ব এবং প্রযুক্তির উপযোগে উন্নত হয়েছে। এটি বিশ্বের উন্নত দেশেগুলির মধ্যে একটি মৌলিক অংশ হিসেবে প্রস্তুত থাকতে পারে এবং অধুনাতন যুগে গৃহকর্মী, উৎপাদক, এবং বিভিন্ন উৎপাদন প্রণালীতে মৌলিক পরিবর্তনে ব্যবহৃত হতে পারে। এছাড়াও, আধুনিক কৃষ্টি বাচার এবং পৌরসভা কাজের প্রদর্শন, আধুনিক সমাজ উন্নতি, এবং ভৌগোলিক পরিবর্তনে প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
এই দুটি কৃষ্টির মধ্যে মিশ্রণ আসতে পারে যখন রাজনৈতিক কৃষ্টি আধুনিক প্রযুক্তি এবং উৎপাদন পদ্ধতির সাথে মেলে যায় এবং এটি আধুনিক সমাজের প্রতি প্রভাব ফেলতে পারে। এটি হতে পারে একটি জোট কাজে নেওয়ার প্রযুক্তিগত সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং কৃষ্টি উন্নত হতে পারে অনেকগুণ ক্ষমতা এবং সজ্জতা দ্বারা।