উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ যুবকদের কল্যাণ মানেই দেশের কল্যাণ সাধন। তাই দেশের বেকার যুবক সমাজকে গঠনমূলক উপায়ে সুসংগঠিত করে বিভিন্ন কর্মে প্রযুক্ত করতে হবে।
যুবকল্যাণে যুবকদের দৈহিক, মানসিক, আর্থিক ও নৈতিক কল্যাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যুবকল্যাণের
বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্যগুলো মূলত আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নকেই নির্দেশ করে।
→ যুবকল্যাণের বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্য ঃ যুবকল্যাণের বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্যগুলো নিম্নরূপ :
১. জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে সকল যুবকের শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ বিধান।
২. শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যুবকদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করা।
৩. সর্বস্তরের যুবকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়তা প্রদান।
৪. সকল বেকার যুবকদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতা সৃষ্টি করা।
৫. যুবকদের বেকারত্ব দূরীকরণে সহায়তা প্রদান ।
৬. যথার্থ নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করে যুবকদের দক্ষ জনবলে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালানো হয় ।
৭. এদেশের যুবকদের অবসর সময়কে গঠনমূলক কাজে নিয়োজিত করে তাদের দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ।
৮. যুবকদের মাঝে হতাশা দূর করার লক্ষ্যে খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক বিভিন্ন কর্মসূচির ব্যবস্থা গৃহীত হয়ে থাকে।
৯. অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে দূর করে সামাজিক ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে সক্ষমকরণ ।
১০. সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের সম্পদশালী জনসম্পদে পরিণত হয়।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, যুবকল্যাণ যুবকদের সঠিক উন্নতি সাধনের কার্যক্রম। যুবকল্যাণের বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্যগুলো সত্যিই দেশের উন্নয়নকে বেগবান করছে। তাই বাংলাদেশকে উন্নয়নকামী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যুবকল্যাণের গুরুত্ব অনন্য।