ম্যাক্স ওয়েবারের সমাজবিজ্ঞানের পদ্ধতিগত দিকসমূহ বর্ণনা কর।

অথবা, সমাজবিজ্ঞানের পদ্ধতিগত দিকসমূহ সম্পর্কে ম্যাক্সওয়েবার ব্যাখ্যা বর্ণনা কর।
অথবা, ম্যাক্স ওয়েবারের সমাজবিজ্ঞানের পদ্ধতিগত বিষয়গুলো বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
জার্মান কিংবদন্তী সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার কেবল সমাজবিজ্ঞানী নন, একাধারে অর্থনীতিবিদ, ঐতিহাসিক, দার্শনিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, প্রাচ্যতত্ত্ববিদ, ধর্ম ও ভাষায় বিজ্ঞ পণ্ডিত। সমস্ত বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা মানুষ ও মানবসমাজ সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টির সৃষ্টি করেছে।
সামাজবিজ্ঞানের পদ্ধতিগত দিক : ম্যাক্স ওয়েবারের পদ্ধতি বিষয় আলোচনা সমাজতত্ত্বের একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পদ্ধতিসমূহ সমাজবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের বিতর্ক ও মতপার্থক থাকলেও এ ব্যাপারে ওয়েবার যথেষ্ট যৌক্তিকতা ও সার্থকতার পরিচয় দিয়েছেন। ওয়েবার বলেন, “প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পদ্ধতিতে ঢালাওভাবে সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রয়োগ করলে তা অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। কারণ সামাজিক ঘটনাবলির ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যতিরেকে শুধু প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পদ্ধতির সাহায্যে সবসময় সাধারণীকরণ সম্ভব নয়। ওয়েবার পদ্ধতিগত প্রশ্নে দুটি দিকের প্রতি আলোকপাত করেছেন। যথা :
১. সমাজবিজ্ঞানের ব্যাখ্যামূলক পদ্ধতি এবং
২. সমাজবিজ্ঞানের কমপ্রিহেনসিভ পদ্ধতি ।
ওয়েবারের অধ্যায় ও বিশেষণ পদ্ধতিতে পরিষ্কারভাবে জ্ঞান উন্মেষ ও দর্শনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তিনি তিনটি পদ্ধতিকে বেষ্টন করে অধ্যয়ন পদ্ধতির সামাজিক কাঠামো দাঁড় করান। এগুলো নিম্নরূপ :
১. মূল্যবোধ সম্পর্কিত কারণ বনাম নিরপেক্ষ বিচারবিশেষণ,
২. গভীর অন্তর্দৃষ্টি বা জ্ঞানোপলব্ধি,
৩.আদর্শ নমুনা।
উপসংহার : সমাজবিজ্ঞানের পদ্ধতিগত দিক বর্ণনায় ওয়েবারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশেষণ পদ্ধতি একটি ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করে।