অথবা, ম্যাকাইভারকে সমর্থন করেছেন এমন সমাজবিজ্ঞানীদের মতামত আলোচনা কর।
অথবা, ম্যাকাইভার কেন সমাজবিজ্ঞানীদের দ্বারা সমর্থিত আলোচনা কর।
অথবা, সশস্ত্রবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে ম্যাকাইভার আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : মানুষ সামাজিক জীব, মানবসভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করছে। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের মতে, “মানুষ স্বভাবতই সামাজিক জীব। যে মানুষ সমাজে বাস করে না, সে হয় দেবতা, না হয় পশু।” ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানের জনক অগাস্ট কোঁৎ ১৮৩৯ সালে প্রথম সমাজ সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করেন এবং সমাজবিজ্ঞানের জন্ম দেন।
ম্যাকাইভারের মত : ম্যাকাইভার বলেছেন, “সমাজবিজ্ঞানই একমাত্র বিজ্ঞান, যা সমাজ ও সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করে।” তিনি এখানে সমাজ ও সামাজিক সম্পর্ককে একই অর্থে বুঝিয়েছেন। ম্যাকাইভারের সমর্থনে সমাজবিজ্ঞানীদের মতামত : ফ্রাঙ্ক ওয়ার্ড ও উইলিয়াম গ্রাহাম সামনার বলেছেন “সমাজবিজ্ঞান হলো সমাজের বিজ্ঞান।” সমাজবিজ্ঞানী সিমেন্স বলেছেন, “সমাজবিজ্ঞান এমন একটি বিজ্ঞান, যা মানব সম্পর্ক অধ্যয়ন করে।” অধ্যাপক জিন্সবার্গের মতে, “ব্যাপক অর্থে সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হলো সামাজিক চিন্তা, প্রতিক্রিয়া ও সম্পর্ক এবং ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা।” সমাজবিজ্ঞানীদের এসব সংজ্ঞা ম্যাকাইভারের উক্তিকে সমর্থনের পাশাপাশি বিশেষণও করেছে। ম্যাকাইভার গোটা সমাজকে বিশেষণ করার মধ্যে সমাজবিজ্ঞানকে সংজ্ঞায়িত করার প্রয়াস পেয়েছেন।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, সমাজবিজ্ঞান মানুষের সমাজকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের ন্যায় বর্তমানে এটাও একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। তাই ম্যাকাইভার প্রদত্ত সংজ্ঞাটি “সমাজবিজ্ঞানই একমাত্র বিজ্ঞান, যা সমাজ ও সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করে।” এ সংজ্ঞাটি
সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ও সর্বজনীন সংজ্ঞা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।