উত্তর : ভূমিকা : বাংলার তুর্কি শাসনের হাতহাসে। মুঘিসউদ্দিন তুমিল খান একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। আছেন। সামান্য ক্রীতদাস থেকে বাংলার সুলতান হন।তুঘ্রিল খান সিংহাসনে বসেই রাজ্য বিস্তারে মনোযোগ দেন। তিনি সুলতান মুঘিসউদ্দিন উপাধি ধারণ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
মুঘিসউদ্দিন তুমিল খানের পরিচয় : মুঘিসউদ্দিন তুমিল | ছিলেন তুর্কিস্থানের অধিবাসী। প্রথম জীবনে তিনি ক্রীতদাস
ছিলেন। গিয়াসউদ্দিন বলবন মুঘিসউদ্দিন তুমিলকে দাস হিসেবে ক্রয় করেন। মুঘিসউদ্দিন তুমিল ছিলেন প্রভুভক্ত, বিশ্বাসী ও বুদ্ধিমান। তিনি অল্পদিনে বলবনের অনুগ্রহ লাভ করেন। বলবনের পৃষ্ঠপোষকতায় লখনৌতিতে আমিন খানের সহকারী
শাসক হিসেবে নিযুক্ত হন। যোগ্যতা ও কর্মগুণে মুঘিসউদ্দিন তুমিল সামান্য ক্রীতদাস হতে ১২৬৭ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম বাংলার
। সিংহাসনে আরোহণ করেন। সিংহাসনে আরোহণ করে মুঘিসউদ্দিন তুঘ্ৰিল খান নাম ধারণ করেন।
সহকারি হিসেবে মুঘিসউদ্দিন তুমিল: তাতার খানের মৃত্যুর পর সুলতান বলবন আমিন খানকে বাংলার শাসনকর্তা নিয়োগ করে। পরবর্তীতে আমিন খানের অনুরোধে বলবন
তুমিল খানকে আমিন খানের সহকারি হিসেবে নিয়োগ দেন। আমিন খানের সহকারি হিসেবে তুখ্রিল খান অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন।
শাসক হিসেবে মুঘিসউদ্দিন তুমিল: তুখ্রিল খান ১২৭৮ সালে সুলতান মুঘিসউদ্দিন নাম ধারণ করে বাংলার সিংহাসনে বসেন। সামান্য ক্রীতদাস হতে তিনি বাংলার স্বাধীন সুলতান
হন। তিনি সোনারগাঁও-এর অনতিদূরে একটি দুর্গ তৈরি করেন এবং দক্ষিণ পশ্চিম দিকে উড়িষ্যা আক্রমণ করে বিপুল ধন সম্পদ করেন।
দক্ষ ও ন্যায়বিচারক হিসেবে মুঘিসউদ্দিন তুমিল: মুঘিসউদ্দিন তুমিল খানের তের বছরের শাসনকালে বাংলার মুসলিম শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সামান্য শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনিই কৃতিত্বের অধিকারী। তার শাসনামলে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিচারকার্য পরিচালনায় হিন্দু মুসলমান সকলের ন্যায়বিচার করা হত। ন্যায়বিচারের জন্য তিনি বিভিন্ন স্থানে কাজী নিযুক্ত করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলার ইতিহাসের পাতায় সুলতান মুঘিসউদ্দিন তুমিল খান গুরুত্বপূর্ণ আসন দখল করে আছেন। তিনি প্রথম জীবনে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের ই ক্রীতদাস ছিলেন। সাহসিকতা, বীরত্ব ও বিশ্বস্ততায় তিনি বাংলার
সিংহাসনে বসেন। বাংলার ইতিহাসে সুলতান মুঘিসউদ্দিন তুমিল খানের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।


