মুঘল আমলের ইতিহাস রচনায় ফার্সি পাণ্ডুলিপি কতটা সহায়ক ছিল?

উত্তর : ভূমিকা : ইতিহাস অতীত ঘটনার ধারাবাহিক অর্থপূর্ণ বিবরণী। মধ্যযুগের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক
অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য অনেক তথ্য ও উপাত্ত দরকার হয়। মধ্যযুগে বাংলায় মুসলিম জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্র
প্রস্তুত হয়। যার কারণে মধ্যযুগে শাসন ব্যবস্থার উৎস মুসলিম ধর্মাশ্রয়ী সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে প্রস্তুত হয়।
→ ফার্সি সাহিত্য বা পাণ্ডুলিপি : শাহাজাহানের শাসনামলে উচ্চ রাজকর্মচারী সাদিক খান-‘তারিখ-ই-শাহজাহান’ প্রয়োজনীয়
উপকরণবহুল গ্রন্থটি রচনা করেন। সমসাময়িক লেখক চন্দ্রাভন ব্রাহ্মণ, ‘চাহার চামন’ নামক মূল্যবান প্রামাণিক গ্রন্থ রচনা করেন। প্রধান প্রধান প্রশাসনিক আইন-কানুন ও রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতির উপর লিখিত গ্রন্থ “দসতুর-উল-আলম-ই-আওরঙ্গজেবী”। মুঘল
কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থার বিবরণ সম্পর্কে রচিত ‘দিভান-পসনদ’ নামক পাণ্ডুলিপি একটি প্রয়োজনীয় গ্রন্থ। আলী
মুহাম্মদ খান রচিত ফার্সি পাণ্ডুলিপি ‘সিরাজ-ই- আহমদী’ থেকে মুঘল শাসন ব্যবস্থার বিবরণ পাওয়া যায়।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা শেষে আমরা বলতে পারি যে, বাংলার ইতিহাসে মধ্যযুগের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তথ্যের
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উপরের তথ্যাদি থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মূলত এ উপাদানগুলো ইতিহাসের মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ac/