উত্তর : ভূমিকা : বাংলার ইতিহাসে মীর জুমলা একজন অন্যতম সুবাদার ছিলেন। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে মীর জুমলা বাংলার সুবাদারের মর্যাদা লাভ করেন।
শাসক, রাজনীতিবিদ, সেনানায়ক হিসেবে তিনি সর্বশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। এ সময় মীর জুমলার আসাম বিজয় ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। নিম্নে মীর জুমলার আসাম বিজয় সম্পর্কে তুলে ধরা হলো :
→ মীর জুমলার আসাম বিজয়
১. আসাম বিজয়ের উদ্দেশ্য : ১৬৬১ সালে কুচবিহার অধিকারের পর মীর জুমলা তার সৈন্যদল ও নৌবাহিনী নিয়ে আসাম অভিযানে যাত্রা করেন। কামরুপ পুনরুদ্ধার ও আসাম জয় করে অহোমরাজের শাস্তির ব্যবস্থা করা তার অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল ।
২. আসাম বিজয় : জল ও স্থল পথে মুঘল বাহিনী কামরূপে প্রবেশ করে। একটি বড় নৌযুদ্ধে অহোমদের নৌশক্তি বিধ্বস্ত
হয়ে যায়। ফলে ৩০০ রনতরী মুঘলদের হস্তগত হয়। কামরুপে পুনরায় মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। মীর জুমলা তার অগ্রগতি।অব্যাহত রাখেন। অতঃপর ১৬৬২ সালে আসামের রাজধানী বরগ্রাম অধিকার করেন। আসামের রাজা জয়ধ্বজ বার্ষিক কর প্রদানের শর্তে সন্ধি স্বাক্ষর করে। মীর জুমলা ৮২টি হস্তী, তিন
লক্ষ টাকা, তিনশ চল্লিশ মন গোলাবারুদ ছাড়াও বহু মূল্যবান সামগ্রী হস্তগত করেন। তবে মীর জুমলার মৃত্যুর পর আসামে
মুঘল শাসন লোপ পায়।
উপসংহার : মীর জুমলার আসাম বিজয় মুঘল তথা বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে তিনি।আসাম বিজয় করেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান, মনের দিক।থেকে অস্বাভাবিক শান্ত, নির্ভীক ও সাহসী। রাজদরবারে কূটকৌশলেএবং যুদ্ধের ময়দানে রণচাতুর্যে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ ছিলেন।