অথবা, মার্কিন শাসনবিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির কার্যকারিতা উল্লেখ কর।
অথবা, মার্কিন শাসনবিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির কার্যকারিতা ও প্রয়োগ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ ভূমিকা: ব্যবহারিকভাবে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। তাই মার্কিন শাসন বিভাগের কার্যাবলি ও পারস্পরিক নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি থেকে মুক্ত নয়। শাসন বিভাগের কার্যাবলির উপর অপর দুই বিভাগ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে থাকে। শাল বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যনীতি নিম্নে শাসন বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির প্রয়োগ দেখানো হল।
১. রাষ্ট্রপতি শাসনবিভাগের সকল কর্মচারী, রাষ্ট্রদূত, কেবিনেট সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিচারপতিদের নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে এ নিয়োগ বৈধকরণের জন্য সিনেটের অধিকাংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
২. রাষ্ট্রপতির মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই কংগ্রেস রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। কংগ্রেস এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ইমপিচমেন্টের ব্যবস্থা করতে পারে।
৩. রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সম্পাদিত কোন চুক্তি সিনেট অনুমোদন না করলে তা কার্যকর হয় না। এ অনুমোদনের জন্য সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন দরকার।
৪. মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাজেট তৈরি করেন, যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন। তবে কংগ্রেসের অনুমোদন ব্যতীত তা কার্যকর হয় না।
৫. রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত নির্বাহী বিভাগীয় আদেশাবলি বিচার বিভাগের পর্যালোচনার অধীন। কোন আদেশ বা ডিক্রি সাংবিধানিক এক্তিয়ার বহির্ভূত বা আইনের যথোচিত পদ্ধতি বিরোধী হলে আদালত একে বাতিল ঘোষণা করতে পারে।
৬. রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ গ্রহণ করে সংবিধানকে সমর্থন ও রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন, যা মনস্তাত্ত্বিকভাবে রাষ্ট্রপতির উপর নৈতিক বাধা হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকে।
৭. রাষ্ট্রপতি ভেটো প্রয়োগ করে থাকেন। কিন্তু কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির ভেটোকে বাতিল করে দিতে পারে।
উপসংহার: উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, মার্কিন শাসন বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির নিয়ন্ত্রণ যথাযথভাবে ক্রিয়াশীল। সুতরাং বলা যায়, মার্কিন শাসনব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি প্রবর্তিত হওয়ায় এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজের উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে, যা সমগ্র শাসনব্যবস্থার এক গভীর যোগসূত্র স্থাপন করে।