অথবা, মার্কিন বিচার বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির কার্যকারিতা উল্লেখ কর।
অথবা, মার্কিন বিচার বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির কার্যকারিতা ও প্রয়োগ দেখাও।
উত্তরঃ ভূমিকা: মার্কিন শাসনব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি বিদ্যমান। নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি বিদ্যমান থাকায় মার্কিন বিচার বিভাগ আইন ও শাসন বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত নয়। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির কারণে
মার্কিন বিচার বিভাগের কার্যাবলির উপর অপর দুই বিভাগ হস্তক্ষেপ করে থাকে।
বিচার বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি: নিম্নে মার্কিন বিচার বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির প্রয়োগ দেখানো হল:
১. মার্কিন রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিযুক্ত করেন। কিন্তু এ নিযুক্তি সিনেটের অনুমোদন সাপেক্ষ এবং
এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিচার-বিবেচনার প্রভাবকে অস্বীকার করা যায় না।
২.বিচার বিভাগের উপর কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির
সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারে।
৩. অধঃস্তন জাতীয় আদালত গঠন ও বিলোপ সাধন সুপ্রিম কোর্টের আপিল সংক্রান্ত ক্ষমতা বিভিন্ন জাতীয় আদালতের এক্তিয়ার নির্ধারণের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে ন্যস্ত।
৪. ইমপিচমেন্ট ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্য যে কোন অপরাধে দণ্ডিত অপরাধীর দণ্ডাদেশ রাষ্ট্রপতি স্থগিত, এ্যাস বা
ক্ষমা প্রদর্শন করতে পারে।
৫. বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্ত রোধ ও বিধিনিষেধ অপসারণের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস আইন প্রণয়ন করতে পারে।
৬. রাষ্ট্রপতি আদালতের রায়কে কার্যকরী করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন আদালতকে অসহায় অবস্থায় ফেলতে পারে। আবার আদালত রিট জারি করে শাসন বিভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
উপসংহার: অতএব বলা যায় যে, মার্কিন বিচার বিভাগের উপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির যথাযন প্রয়োগ
পরিদৃষ্ট হয়। নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতির কারণে বিচার বিভাগ আইন ও শাসন বিভাগের প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। আর এ নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি সমগ্র শাসনব্যবস্থায় এক গভীর যোগসূত্র স্থাপন করে একে গতিশীলতা দান করেছে।