অথবা, মারি চুক্তি সম্পর্কে টীকা লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : পাকিস্তানে সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে মারি চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯৫৪ সালে ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ প্রথম গণপরিষদ ভেঙে দেন এবং দ্বিতীয় গণপরিষদ গঠিত হয়। এ গণপরিষদের মাধ্যমে ১৯৫৫ সালের ৫ দফাভিত্তিক মারি চুক্তি সম্পাদিত হয়।
মারি চুক্তি : পাকিস্তানের দ্বিতীয় গণপরিষদ ১৯৫৫ সালের ৭ জুলাই পশ্চিম পাকিস্তানের মারিতে প্রথম অধিবেশনে নিযুক্ত হয়। প্রথম অধিবেশন চলাকালে মারিতে পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভবিষ্যৎ সংবিধানে কাঠামো ও রূপরেখা সম্পর্কে কয়েক দফা আলাপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলাপ আলোচনার শেষে পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ সংবিধান সম্পর্কে কয়েকটি বিষয়ে একটি আপস চুক্তি সম্পাদন করেন। এটি বিখ্যাত মারি চুক্তি নামে পরিচিত। তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ গুরমারি, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, ডা. খান সাহেব ও মোহাম্মদ আলী পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। অপরপক্ষে পূর্ব বাংলার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ. কে. ফজলুল হক, আতাউর রহমান খান ও আবুল মনসুর আহমদ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পাকিস্তানের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে মারি চুক্তি ছিল একটি মাইলফলক। মারি চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের পথ প্রশস্ত হয়। ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।