অথবা, উত্তম তত্ত্বাবধায়কের গুণাবলিসমূহ কী?
অথবা, ভালো তত্ত্বাবধায়কের গুণসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, মাঠকর্মে ভালো তত্ত্বাবধায়কের গুণাবলিসমূহ তুলে ধর।
উত্তর।৷ ভূমিকা : তত্ত্বাবধান হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি অধিকতর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিকট থেকে জ্ঞান, নির্দেশনা ও দক্ষতা লাভ করে নিজেদের ত্রুটিবিচ্যুতি, ভুলভ্রান্তি দূর করতে পারে । আর যিনি তত্ত্বাবধানকার্য সম্পাদন করেন তাকে বলা হয় তত্ত্বাবধায়ক ।
মাঠকর্মে উত্তম তত্ত্বাবধায়কের গুণাবলি
উত্তম তত্ত্বাবধায়কের কতিপয় গুণ থাকা অত্যাবশ্যক। এসব গুণের কারণেই তিনি একজন সফল তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বিবেচিত। নিম্নে একজন উত্তম তত্ত্বাবধায়কের গুণাবলি তুলে ধরা হলো:
১. প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুগত এবং সহায়তাকারী;
২. কার্যক্রম পরিচালনায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখা;
৩. বন্ধুভাবাপন্ন ও সদালাপী গুণের অধিকারী;
৪. ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন আনয়নে বিশ্বাসী;
৫. প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের লক্ষ্যার্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ;
৬. প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিচক্ষণ ব্যক্তি;
৭. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণদানে ক্ষমতা ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী;
৮. শৃঙ্খলাবোধ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী; এবং
৯. প্রশাসনিক কৌশল ও অন্যের উপর প্রভাব বিস্তারকারী।
১০. প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দক্ষতা অর্জনকারী;
১১. প্রতিজ্ঞা রক্ষাকারী বা বাস্তবায়নকারী;
১২. কর্মীদের উন্নয়ন বা সেবা প্রদানকারী;
১৩. অধীনস্থ সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত হওয়া;
১৪. দক্ষতা, যোগ্যতা ও বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী হওয়া;
১৫. বিচক্ষণতা দিয়ে অন্যদের আস্থা অর্জন;
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, তত্ত্বাবধায়কের অধীনেই মাঠকর্ম সম্পাদিত হয়। শুধু মাঠকর্ম অনুশীলনই নয় বরং যে কোন গবেষণার ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক গাইডলাইন হিসেবে কাজ করেন।এজন্য তত্ত্বাবধায়ক একজন দক্ষ ও মানবীয় গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে হয়।