Download Our App

মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টকি?

অবশ্যই, আমি আপনাকে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সম্পর্কে সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি।

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট কী?

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হলো সেইসব অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান যা আপনার শরীরের অত্যন্ত সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয়, কিন্তু স্বাস্থ্য, শারীরিক বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এগুলোর গুরুত্ব অসীম

নামটি (মাইক্রো অর্থাৎ ক্ষুদ্র) থেকে বোঝা যায়, এগুলি আমাদের প্রধান পুষ্টি উপাদান বা ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট (যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট) এর মতো বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয় না, তবুও এগুলি ছাড়া শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের প্রকারভেদ

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

প্রকারউদাহরণকাজ (মানবদেহের জন্য)
১. ভিটামিন (Vitamins)ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, ডি, ই, কেরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখা, শক্তি উৎপাদন, রক্ত জমাট বাঁধা, কোষের কার্যকারিতা ও রক্ষণাবেক্ষণ।
২. মিনারেলস বা খনিজ উপাদান (Minerals)আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ

হাড়ের স্বাস্থ্য (ক্যালসিয়াম), রক্ত তৈরি (আয়রন), স্নায়ুর সঠিক কাজ, হরমোন উৎপাদন (আয়োডিন), শরীরের এনজাইম বা উৎসেচকের কাজ ত্বরান্বিত করা। |


মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের প্রয়োজনীয়তা

যদিও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট খুব অল্প পরিমাণে লাগে, তবে এর অভাব হলে শরীরে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

  • আয়রনের অভাব: রক্তস্বল্পতা (Anemia) হতে পারে।
  • ভিটামিন এ-এর অভাব: দৃষ্টিশক্তির সমস্যা বা রাতকানা রোগ হতে পারে।
  • আয়োডিনের অভাব: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা (Goitre) হতে পারে।

এই পুষ্টি উপাদানগুলো যেহেতু শরীর নিজে তৈরি করতে পারে না বা খুব কম পরিমাণে করে, তাই এদের প্রধান উৎস হলো সুষম খাদ্য

আপনি কি বিশেষ কোনো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের উৎস বা কাজ সম্পর্কে জানতে চান?