মনে করিলাম আমার উপযুক্ত কাজ পাইয়াছি। উপদেশ এবং উৎসাহ দিয়া এক একটি ছাত্রকে ভাবী ভারতের এক একটি সেনাপতি করিয়া তুলিব।”- ব্যাখ্যা কর।

উৎস : উদ্ধৃত অংশটুকু বাংলা সাহিত্যের দিকপাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘একরাত্রি’ শীর্ষক গল্প থেকে
প্রসঙ্গ : শিক্ষকতার পাশাপাশি দেশোদ্ধারের রঙিন স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার প্রত্যয় নায়ক এখানে ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষণ : গল্পের নায়ক সরকারি আদালতের কর্মচারী হতে কলকাতায় পালিয়ে আসে। নিজের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য সে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে লাগল। অপরদিকে, তার জীবনে আরেকটি নতুন অধ্যায় যোগ হলো। দেশের জন্য সে স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দিল। সভাসমিতি এবং মিটিং মিছিলে নিয়মিত যোগদান করতে থাকল। এন্ট্রেন্স পাস করে ফার্স্ট আর্টস পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার জীবনে হঠাৎ করে অন্ধকার নেমে এলো। পিতার মৃত্যুতে তার কাঁধে এসে পড়ল সংসারের ভার। সে শুধু একা নয়; দুটি বোন এবং মায়ের দায়িত্ব এখন তার উপর। জীবন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে নায়ক নোয়াখালী অঞ্চলের একটি এন্ট্রেন্স স্কুলে সেকেন্ড মাস্টারির চাকরি গ্রহণ করল। চাকরি নায়কের পছন্দ হলো। সে ভাবল, তার উপযুক্ত কাজ সে পেয়েছে। ছাত্রদের ভিতরে দেশপ্রেম জাগিয়ে পরোক্ষভাবে সে দেশের সেবা করে যাবে। ছাত্রদের মাঝে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার পথ খুঁজে পেয়ে নায়কের আত্মতুষ্ট মনোভাব এখানে প্রকাশিত হয়েছে।
মন্তব্য : নায়কের দেশপ্রেমের গভীরতা আলোচ্য অংশে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a8/