মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনের উৎস হিসেবে ‘কিরান-উস-সাদাইন’ গ্রন্থের বর্ণনা দাও।

উত্তর : ভূমিকা : ‘কিরান-উস-সাদাইন’ একটি ঐতিহাসিক’ কাব্য। এ গ্রন্থে বাংলার বলবনী শাসনামলের রাজনৈতিক ইতিহাস বিধৃত হয়েছে। এটি এয়োদশ শতকের বাংলার একটি সাহিত্য-কর্ম হিসেবেও সু-প্রসিদ্ধ। লিখিত ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে এর সুখ্যাতি আছে।
→কিরান-উস-সাদাইনের মূল্যায়ন : নিম্নে সুলতানি আমলে বাংলার লিখিত উৎস হিসেবে কিরাণ-উস-সাদাইনের মূল্যায়ন করা হলো- মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিক বা ‘ভারতের তোতা পাখি’ আমীর খসরু ‘কিরাণ-উস-সাদাইন’-এর রচয়িতা। লখনৌতি তথা বাংলার শাসনকর্তা বুখরা খান ও তাঁর পুত্র কায়কোবাদের মধ্যে যুদ্ধাংদেহী অবস্থান ও পরবর্তীতে তাদের মিলন হয়। এই নাটকীয়তার বিবরণ কিরাণ-উস-সাদানে লেখা আছে। উজিব খানের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। শরযু নদীর তীরে পিতা-পুত্রের সৈন্য শিবির স্থাপিত হয় ও যুদ্ধের প্রস্তুতি চলতে থাকে । শেষে দু’জনের ভুল ভেঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হন।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা শেষে একথা বলা যায় যে, শুধু বাংলায় বলবনী শাসনেরই নয়, ব্যাপক অর্থে সুলতানি
আমলে ভারতের ইতিহাস রচনার একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে ‘কিরান-উস-সাদাইন’ এর গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া সমসাময়িক সাহিত্যকর্ম হিসেবেও ‘কিরান-উস-সাদাইদ’ সমধিক প্রসিদ্ধ।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ac/