অথবা, ভোক্তার উদ্বৃত্ত বলতে কি বুঝ?
অথবা, ভোক্তার উদ্বৃত্ত কাকে বলে?
অথবা, ভোক্তার উদ্বৃত্তের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: ভোক্তার উদ্বৃত্ত: ভোক্তা কোন দ্রব্য হতে উহার মূল্যের অতিরিক্ত যে তৃপ্তি লাভ করে, তাকে ভোক্তার উদ্ধৃত্ত (Consumer surplus) বলা হয়।
মতামত:প্রফেসর মার্শালের মতে, “একজন ব্যক্তি একটি পণ্যের জন্য যে মূল্য দিতে ইচ্ছুক এবং যে মূল্য তিনি প্রকৃতপক্ষে প্রদান করেন তার মধ্যে পার্থক্যকে ভোক্তা উদ্বৃত্ত বলা হয়।” প্রফেসর মেহতা বলেন, “একজন ক্রয়কৃত পণ্য থেকে যে পরিমাণ সন্তুষ্টি অর্জন করে তা হল সেই পণ্য থেকে সেই ব্যক্তি যে পরিমাণ সন্তুষ্টি পায়।ভোক্তাদের উদ্বৃত্ত হল সন্তুষ্টির পরিমাণ যা আর্থিক সন্তুষ্টির জন্য ছেড়ে দিতে হয় এমন অর্থের পরিমাণ বিয়োগ করে।
” অধ্যাপক তৌজিগের মতে, “একজন ব্যক্তি ভাল জিনিসের জন্য যে মূল্য দিতে ইচ্ছুক এবং ভাল জিনিসের প্রকৃত মূল্য।উভয়ের মধ্যে পার্থক্য হল ভোক্তার উদ্বৃত্ত।” অতএব, উপরের সংজ্ঞাগুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের বিভিন্ন স্বতন্ত্র ক্রেতারা যে দামে কিনতে ইচ্ছুক এবং যে দামে তারা প্রকৃতপক্ষে কেনেন তার মধ্যে পার্থক্য ভোক্তার উদ্বৃত্ত।
সূত্র সহ অভিব্যক্তি:
(1) ভোক্তা উদ্বৃত্ত = (প্রত্যাশিত মূল্য প্রকৃত মূল্য)>0
= (চাহিদা মূল্য-বাজার মূল্য) >0 হবে।
ট্যাবুলার এক্সপ্রেশন: ভোক্তা উদ্বৃত্ত নিম্নলিখিত সারণী আকারে দেখানো হয়েছে।
দ্রব্যের একক | চাহিদা দাম | বাজার দাম | ভোক্তার উদ্ধৃত্ত |
১ | ৬০টাকা | ৩০টাকা | ৩০ |
২ | ৫০টাকা | ৩০টাকা | ২০ |
৩ | ৪০টাকা | ৩০টাকা | ১০ |
৪ | ৩০টাকা | ৩০টাকা | ০ |
উপরের চারটি একক হতে মোট চাহিদা দাম উপরের চারটি একক হতে মোট বাজার দাম সুতরাং, ভোক্তার উদ্বৃত্ত (চাহিদা দাম (৬০+৫০+৪০ + ৩০) টাকা = ১৮০ টাকা (৩০+৩০+৩০+৩০) টাকা = ১২০ টাকা বাজার দাম) = (১৮০-১২০)= ৬০ টাকা
ভোক্তা ৬০ টাকার সমান অতিরিক্ত উদ্বৃত্ত তৃপ্তি বা তোগ পাচ্ছে। ইহাই হল ভোক্তার উদ্বৃত্ত (Consumer Surplus) চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ। নিম্নের চিত্রের সাহায্যে ভোক্তার উদ্বৃত্ত দেখান হলো- চিত্রে OX অক্ষে দ্রব্যের পরিমাণ ও OY অক্ষে উপযোগ বা দাম নির্দেশ করছে।
AB চাহিদা রেখা ও SS যোগফল রেখা। AB ও SS রেখা E বিন্দু হল ভারসাম্য বিন্দু।
ভোক্তার উদ্বৃত্ত (সমান) (OQEA-OQEP) = PEA চিত্রের ত্রিভুজ আকৃতির গাঢ় কালো অংশে PEA এলাকা হল ভোক্তার উদ্বৃত্ত।