উত্তর ঃ ভূমিকা : বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দরিদ্রতম দেশ। এখানে নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা বিরাজমান। এসব সমস্যার দ্রুত নির্মূলের মাধ্যমে দেশ জাতির উন্নয়ন শতগুণে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে সরকার
বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের মত এসব সমস্যা দূরীকরণে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। বলা বাহুল্য এদেশে ভবঘুরে সমস্যা বেড়েই চলেছে। তাই নিরসনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার একান্ত প্রয়োজন।
→ ভবঘুরে প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের গুরুত্ব ঃ ভবঘুরে সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতকল্পে ভবঘুরে প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কার্যক্রমে অগ্রযাত্রা ঘটেছে। এর এই কার্যক্রমের গুরুত্ব অত্যধিক। নিম্নে কিছুটা আলোকপাত করার প্রয়াস চলানো হলো :
বাংলাদেশে নিত্যদিন ভবঘুরে সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ভবঘুরে প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় অক্ষমতা প্রতিকার, আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ, বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, সহজশতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, ভবঘুরেদের আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রতকরণ, সুষ্ঠু পুনর্বাসন, সামাজিক শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, নানা বিষয়ে কৌশল শিক্ষা ও নিত্য পদ্ধতির প্রয়োগ সাধন প্রভৃতি করা সম্ভব হয়। ফলশ্রুতিতে এ সমস্যা অনেটা লাঘব হচ্ছে। এছাড়াও ভবঘুরে মানুষদের কর্মজীবী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি পর্যায়ে আশ্রয় কেন্দ্র অর্থাৎ ভবঘুরে প্রশিক্ষণও পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহের ভূমিকা অনবদ্য বলা যেতে পারে। যেসব ভবঘুরেদের আত্মনির্ভরশীল, যোগ্য, দক্ষ, শ্রমের প্রতি যত্নবান ও কর্মে উদ্যোগী ও সর্বোপরি সমাজে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রসমূহ উৎসাহ প্রদানে ও যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে ভবঘুরে, ভিক্ষুক প্রভৃতি শ্রেণির মানুষগুলো সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবার সাথে সাথে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ
ঘোরাঘুরি এবং সুষ্ঠু স্বাভাবিক সামাজিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভবপর হয়।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলতে পারি যে, বাংলাদেশে ভবঘুরে সমস্যা অনেকটাই জটিল। যার কারণে সমাজজীবনে শৃঙ্খলার বিনষ্টকরণ ঘটে। একজন মানুষ পরিণত হয় অযোগ্যতে। ফলশ্রুতি জাতীয় উন্নয়ন হয় অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত। বাংলাদেশ সরকার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে।