ভক্তিবাদী সাধক গুরু নানকের উপদেশাবলি লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : গুরু নানক ছোটবেলা থেকেই সাধক সঙ্গ পছন্দ করতেন। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তিনি সংসার জীবন ও চাকরি ত্যাগ করে সন্ন্যাস বা বৈরাগী ধর্ম গ্রহণ করেন। সমসাময়িক পরিবেশ ও কর্মকাণ্ড উপলব্ধি করে তিনি জরা, সংকীর্ণতা বিবর্জিত নতুন এক চিন্তার কথা বা বাণী প্রচার করতে
নের
| শুরু করেন। সর্বজনীন কল্যাণকামী বাণী প্রচার করে তিনি | সকলের প্রিয় পাল হয়ে উঠেন। তার উপদেশ পরবর্তীতে শিখ
| ধর্মের বাণীতে পরিণত হয়। তবে তিনি কোনো ধর্মের প্রতিষ্ঠায় | আগ্রহী ছিলেন না। গুরু নানকের দর্শনের মূলকথা বা উপদেশসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো :
→ গুরু নানকের দর্শনের মূলকথা বা উপদেশসমূহ : গুরু নানকের দর্শনের মূলকথাগুলো হলো- ১. ঈশ্বর এক;
২. সব মানুষ সমান। এতে কোনো ভেদাভেদ নাই;
৩. নারী-পুরুষ স্রষ্টার কাছে সমান;
৪. নানক ঈশ্বরের অবতার;
৫. গুণের অর্জন ও দোষের বর্জন করতে হবে;
৬. পুনর্জন্মের বিশ্বাস;
৭. ঈশ্বরের প্রতি আত্মার অভিযাত্রায় গুরুর প্রয়োজন;
৮. বাস্তব জীবনে থেকেই ঈশ্বরের মোক্ষলাভ;
৯. মূর্তি পূজা, তীর্থযাত্রা ও ধর্মের নামে আচার-অনুষ্ঠান পালন উচিত না।
১০. ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যক্তিগত জীবনে সদাচার।
১১. অধিকারী হতে হবে।
১২. ঈশ্বর ভক্তি থাকতে হবে উক্ত উপদেশাবলি ‘আদি’ গ্রন্থে সংকলিত আছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হিন্দু-মুসলিম উভয় | সম্প্রদায়ের অর্থহীন কুসংস্কার, অনুষ্ঠান প্রভৃতি তিনি বর্জন |
করতে বলেছেন। তার চিন্তা ও কর্মে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের অনেক কর্মকাণ্ডের সংমিশ্রণ ঘটেছে। তার সুন্দর কথা
ও উপদেশের জন্য অনেক ভক্ত পান তিনি। তিনি আজও সকলের নিকট সমাধিত ।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%9a%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%86/