ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র হিসেবে কেন তুমি অর্থনীতি পড়বে?

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন


অথবা, ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র হিসেবে অর্থনীতি পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর।

উত্তর: পরিচিতি : ব্যবসায়ীদের মূল উদ্দেশ্য হল সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা। একজন সফল ব্যবসায়ীকে সবসময় অর্থনৈতিক জ্ঞান থাকতে হয় এবং ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদেরও অর্থনীতির জ্ঞান থাকতে হবে। ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থনীতি অধ্যয়নের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ:

১. সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে: সীমিত সম্পদের সাথে অসীম চাহিদা মেটাতে কীভাবে সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তা বোঝার জন্য অর্থনীতির জ্ঞান প্রয়োজন।

২. ট্রেড-চক্র থেকে সাবধান: উত্থান-পতন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সমৃদ্ধির সময়ে, জিনিসপত্র প্রচুর থাকে মন্দার সময় চাহিদা বাড়ে এবং চাহিদা কমে। ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের ব্যবসার উত্থান-পতন মোকাবেলা করে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক জ্ঞান প্রয়োজন।

৩. ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা: ব্যবসায় অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকিহীনতা অকল্পনীয়। একজন ব্যবসায়ী যিনি ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তার পরিমাণ সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারেন তিনি সফল। ব্যবসায়ীর ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা দূর করতে অর্থনৈতিক জ্ঞান সাহায্য করে

৪. ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রণয়ন: সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। অতীতের উৎপাদন, চাহিদা, সরবরাহ এবং বিক্রয় পর্যালোচনা করে একটি পণ্যের চাহিদা পরিমাপ করুন সংকল্প থাকা অর্থনৈতিক জ্ঞান ব্যবসায়ীদের এই ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে সাহায্য করতে পারে।

৫. উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ: ব্যবসায়ীকে ব্যবসা চালাতে তার পণ্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি হলে দ্রব্য অবিকৃত থেকে যাবে। ফলে ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করাব্যবসার প্রধান কাজ। দ্রব্যের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও যোগান নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীর অর্থনৈতিক জ্ঞান থাকা জরুরী।

৫. উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ: ব্যবসায়ীকে তার পণ্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসা-পরিচালনা করতে হয়। বাজারে

চাহিদার তুলনায় যোগান বেশী হলে দ্রব্য অবিক্রিত থেকে যাবে। ফলে ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা ব্যবসার প্রধান কাজ। দ্রব্যের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও যোগান নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীর অর্থনৈতিক জ্ঞান থাকা জরুরী।

৬. দ্রব্যের চাহিদা সম্পর্কে জ্ঞানঃ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে পণ্যের চাহিদার হ্রাস-বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ীর অর্থনৈতিক জ্ঞান দ্বারা পণ্যের চাহিদা ও মজুদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা সহজতর হয়।

৭. সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাঃ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য ব্যসায়ীদের অর্থনৈতিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কিভাবে কর্মচারী পরিচালনা করতে হবে, কাকে কখন, কি কাজ করতে হবে তা আগে থেকে জানতে পারে। ফলে কাজের মধ্যে বিশৃংখলা দেখা দেয় না এবং সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা সম্ভব হয়।

উপসংহার: অর্থনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন একজন ব্যবসায়ী অত্যন্ত দক্ষতা, সতর্কতা, সাহসী ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ব্যবাসায়ীকে অর্থনৈতিক জ্ঞান অর্জন করা অত্যাবশ্যক।