বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কর্মধারা বা প্রক্রিয়া লিখ ।

অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কর্মধারা ব্যাখ্যা কর।
অথবা, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রক্রিয়া আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সামাজিক গবেষণার অন্যতম প্রধান পদ্ধতি। এ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ তরে বিজ্ঞানী প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিষয়াবলি বর্ণনা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে সাধারণ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরীক্ষিত জান দ্বারা মানবকল্যাণে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যান। তবে বিজ্ঞানী বিশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে গিয়ে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞানার্জন করতে পারে না। তাকে অবশ্যই বিজ্ঞানসম্মত ধারাবাহিক কর্মপ্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। আর বিজ্ঞানসম্মত ও ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে কিছু কিছু পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়। এসব পদ্ধতিই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নামে আখ্যায়িত।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কর্মধারা বা প্রক্রিয়া : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মূলত প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিষয়কে যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্লেষণ করে থাকে। বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নির্দিষ্ট বিষয় বা অবস্থাকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করে থাকে। বর্ণনার সময় বিষয়টির রূপ ও অবস্থানগত বিবৃতিও প্রদান করা হয়। পক্ষান্তরে, বিষয়টির
পারিপার্শ্বিকতা ও পারম্পর্যের কার্যকারণ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয় ব্যাখ্যাকরণের মাধ্যমে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির যাবতীয় কর্মধারা বা প্রক্রিয়াকে একটি চিত্রের সাহায্যে তুলে ধরেছেন পিটার ওরসলে ও
অন্যান্যরা; যা নিম্নে দেয়া হলো :
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মুলত সুসংঘবদ্ধ জ্ঞান প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচালিত কিছুসংখ্যক নীতির সমষ্টি। এটি প্রকৃতিক ও সামাজিক বিষয়কে যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে।