বাঙ্গালা ভাষা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

ক- বিভাগ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১. সাহিত্য সম্রাট কে/ বাংলার স্কট কে?
উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।
২. বঙ্কিম চন্দ্রের জন্ম-মৃত্যু কত?
উত্তর : ১৮৩৮-১৮৯৪
৩. তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
৪. তাঁর পিতার নাম কী?
উত্তর : যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।
৫. বঙ্কিমের মাতার নাম কী?
উত্তর : দুর্গা সুন্দরী।
৬. যাদবচন্দ্র কিসে চাকরি করতেন?
উত্তর : লর্ড হার্ডিঞ্জের শাসন কালে ডেপুটি কালেক্টর।
৭. বঙ্কিমচন্দ্র পিতার সাথে কখন মেদিনীপুর গমন করেন?
উত্তর : ১৮৬৪ সালে।
৮. বঙ্কিমচন্দ্র মেদিনীপুর কোন স্কুলে ভর্তি হন?
উত্তর : ইংরেজি স্কুলে ভর্তি হন।
৯. বঙ্কিমচন্দ্র কত সালে আবার কাঁঠালপাড়ায় ফিরে আসেন মেদিনীপুর থেকে?
উত্তর : ১৮৪৯ সালে।
১০. বঙ্কিমচন্দ্র কত বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়?
উত্তর : মাত্র এগারো বছর বয়সে।
১১. বিয়ের সময় মোহিনী দেবীর বয়স কত ছিল?
উত্তর : মাত্র পাঁচ বছর।
১২. ১৮৪৯ সালে বঙ্কিম কোন স্কুলে ভর্তি হন?
হুগলী কলেজের স্কুল বিভাগে ভর্তি হন।উত্তর : হুগলী কলেজের স্কুল বিভাগে ভর্তি হন।
১৩. বঙ্কিমচন্দ্ৰ কলেজের জুনিয়র ও সিনিয়র বিভাগে বৃত্তি পরীক্ষায় স্হান আধিকার করেন?
উত্তর : প্রথম স্থান অধিকার করেন।
১৪. বঙ্কিমচন্দ্ৰ কত সালে আইন পড়ার জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন?
উত্তর : ১৮৫৬ সালে ভর্তি হন।
১৫. লেখক কখন এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন?
উত্তর : ১৮৫৭ সালে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
১৬. বঙ্কিম কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন?
উত্তর : কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাস করেন।
১৭. বঙ্কিম বি.এ পাস করে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে?
উত্তর : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন সমগ্র ভারতবর্ষের মধ্যে।
১৮. কর্মীজীবনে লেখক কী ছিলেন?
উত্তর : সরকারি আমলা।
১৯. বঙ্কিমচন্দ্রের সম্পাদিত পত্রিকার নাম কী?
উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্রের সম্পাদিত পত্রিকার নাম ‘বঙ্গদর্শন’।
২০. বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি ১৮৭২ সালে প্রকাশিত হয়।
২১. বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ প্রবন্ধ কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্রের অধিকাংশ প্রবন্ধ বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
২২. বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি কত সালে বন্ধ হয়ে যায়?
উত্তর : বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি ১৮৭৬ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
২৩. বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি কে আবার নতুন করে প্রকাশ করতে আরম্ভ করে?
উত্তর : বঙ্কিমের ভাই সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
২৪. বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি প্রবন্ধগ্রন্থের নাম লেখ?
উত্তর : ‘লোক রহস্য’ (১৮৭৪), “বিজ্ঞান রহস্য’ (১৮৭৫), ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ (১৮৭৬), ‘বিবিধ সমালোচনা’ (১৮৭৬) ‘বিবিধ
প্রবন্ধ ১ম ভাগ’ (১৮৮৭), ‘বিবিধ প্রবন্ধ ২য় ভাগ’ (১৮৯২)।
২৫.’বাঙ্গালা’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : ‘বিবিধ প্রবন্ধ ২য় খণ্ড’ (১৮৯২)।
২৬. প্রায় সকল দেশেই কোন ভাষায় অনেক প্রভেদ?
উত্তর : লিখিত ভাষায় এবং কথিত ভাষায়।
২৭. যে সকল বাঙালি ইংরেজি সাহিত্যে পারদর্শী তারা কার কথা সহজে বুঝতে পারে না?
উত্তর : একজন লন্ডনী বাক্নী বা একজন কৃষকের কথা।
২৮. ইংরেজরা কিভাবে বাংলা শিখেছেন?
উত্তর : বাঙালির সাথে কথা বলতে বলতে।
২৯. বাংলার লিখিত ও কথিত ভাষার মধ্যে পার্থক্য আছে কী?
উত্তর : হ্যা, প্রভেদ আছে।
৩০. কিছুকাল পূর্বে দুটি পৃথক ভাষা বাংলায় প্রচলিত ছিল কী কী?
উত্তর : সাধু ভাষা ও অপরটি কহিবার ভাষা।
৩১. সাধু ভাষা ও অপর ভাষার কাজ কী ছিল?
উত্তর : একটি লিখিত ভাষা অপরটি বলবার ভাষা।
৩২. সাধুভাষা কোথায় ব্যবহৃত হতো?
উত্তর : গদ্য গ্রন্থাদিতে।
৩৩. তখন পুস্তক প্রণয়ন কার হাতে ছিল?
উত্তর : সংস্কৃত ব্যবসায়ীদের হাতে ছিল।
৩৪. যাঁরা ইংরেজিতে পণ্ডিত তারা কী গণ্য করতো?
উত্তর: বাংলা লিখতে বা পড়তে না জানা গৌরবের মধ্যে গণ্য করতেন।
৩৫. টেকচাঁদ ঠাকুর কোন ভাষায় সুশিক্ষিত?
উত্তর: ইংরেজি ভাষায়।
৩৬. যে ভাষায় সকলে কথপকোথন করেন সেই ভাষায় টেকচাঁদ ঠাকুর কোন গ্রন্থ প্রণয়ন করেন?
উত্তর: আলালের ঘরে দুলাল।
৩৭. বাংলা ভাষার সম্প্রদায়েরা কয়টি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল?
উত্তর: দুটি সম্প্রদায়ে।
৩৮. সংস্কৃতবাদী সম্প্রদায়ের মুখপাত্র স্বরূপ লেখক কাকে গ্রহণ করেছে?
উত্তর : রামগতি ন্যায়রত্ন মহাশয়কে।
৩৯. প্রচলিত ভাষা ব্যবহারের পক্ষে ন্যায়রত্ন মহাশয়ের প্রধান আপত্তি কী?
উত্তর : পিতা পুত্র একত্রে বসে এরূপ ভাষা ব্যবহার করতে পারে না।
৪০. ন্যায়রত্ন মহাশয়ের বিবেচনায় পিতা পুত্র কোন ভাষায় কথপোকথন করবে?
উত্তর : বড় বড় সংস্কৃত শব্দে।
৪১. এ আইন মোতাবেক শিশু মাতার কাছে কী বলে খাবার চাইবে?
উত্তর : “মাতঃ খাদ্যং দেহি মে”।
৪২. ছেলে বাপের কাছে জুতার আবদার করবে কিভাবে?
উত্তর : ছিন্নেয়ং পাদুকা মদীরা
৪৩. ন্যায়রত্ন কোন ভাষা ব্যবহার করতে লজ্জাবোধ করেন?
উত্তর: সকলের সম্মুখে সরল ভাষা ব্যবহার করতে।
৪৪.ন্যায়রত্ন মহাশয় যে ভাষায় বাঙ্গালা সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব লিখেছেন তা কোন ভাষায়?
উত্তর : তাও সরল প্রচলিত ভাষায়।
৪৫. টেকচাঁদী ভাষার সাথে ন্যায়রত্নের ভাষার পার্থক্য কোথায়?
উত্তর : টেকচাদে রঙ্গরস আছে ন্যায়রত্নে কোন রঙ্গরস নেই।
৪৬. নব্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বঙ্কিম কার নাম উল্লেখ করেছেন?
উত্তর : শ্যামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম।
৪৭. শ্যামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা রিভিউতে বাঙ্গালা ভাষার বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন সেটি কেমন ছিল?
উত্তর : প্রবন্ধটি উৎকৃষ্ট।
৪৮. শ্যামাচরণ বাবু বলেছেন এবং সকলেই জানে বাঙ্গালা শব্দ-
উত্তর : ত্রিবিধ।
৪৯. শ্যামাচরণ বাবু বলেছেন এবং সকলেই জানে বাঙ্গালা শব্দ ত্রিবিধ এর প্রথম শব্দ?
উত্তর : সংস্কৃতমূল শব্দ, যার বাঙ্গালায় রূপান্তর হয়েছে, যেমন গৃহ থেকে ঘর।
৫০. শ্যামাচরণ বাবু বলেছেন এবং সকলেই জানে বাঙ্গালা শব্দ ত্রিবিধ এর দ্বিতীয় শব্দ?
উত্তর : সংস্কৃতমূল শব্দ, যার রূপান্তর হয়নি। যেমন- জল মেঘ।
৫১. শ্যামাচরণ বাবু বলেছেন এবং সকলেই জানে বাঙ্গালা শব্দ ত্রিবিধ এর তৃতীয় শব্দ?
উত্তর: যে সকল শব্দের সংস্কৃতের সাথে সম্বন্ধ নেই।
৫২. বাংলা ভাষা তার অভাব পূরণের জন্য কোন ভাষা থেকে ধার করা উচিত বলে লেখক মনে করেন?
উত্তর: চিরকেলে মহাজন সংস্কৃতের কাছ থেকে।
৫৩. বঙ্কিমের মতে লেখনের ভাষা এবং কথনের ভাষা কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর : চিরকাল স্বতন্ত্র থাকবে।
৫৪. রচনার প্রধান গুণ এবং প্রথম প্রয়োজন কী?
উত্তর: সরলতা এবং স্পষ্টতা।
৫৫. সর্বোৎকৃষ্ট রচনা কোনটি?
উত্তর : যে রচনা সকলেই বুঝতে পারে এবং পড়ামাত্র যার অর্থ বুঝা যায় ।
৫৬. অনেক রচনার মুখ্য উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : সৌন্দর্য।
৫৭. আভাঙ্গা সংস্কৃত কী?
উত্তর : অবিকৃত সংস্কৃত ভাষার শব্দ।
৫৮. অনুস্বারবাদী কী?
উত্তর: সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত।
৫৯. টেকচাঁদ ঠাকুর কে?
উত্তর: প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্ম নাম।
৬০. আলালী ভাষা কী?
উত্তর : প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ উপন্যাসের ভাষা।
৬১. হুতোমী ভাষা কী?
উত্তর : কালী প্রসন্ন সিংহের ‘হুতোম পেঁচার নকশা’ উপন্যাসের ভাষা।