বাংলা নামের উৎপত্তি দুটি ধাপের মাধ্যমে হয়েছে। প্রথম ধাপটি ছিল সংস্কৃত শব্দ “বঙ্গ” থেকে “বাঙ্গলা” শব্দের উদ্ভব। দ্বিতীয় ধাপটি ছিল “বাঙ্গলা” শব্দের সাথে ফার্সি প্রত্যয় “আল” যোগ করে “বাংলাদেশ” শব্দের উদ্ভব।
প্রথম ধাপ
প্রাচীন আর্যরা এই অঞ্চলকে “বঙ্গ” বলে অভিহিত করতো। এই “বঙ্গ” শব্দটি সংস্কৃত “বঙ্গ” শব্দ থেকে এসেছে। “বঙ্গ” শব্দের অর্থ “বনভূমি” বা “জলাভূমি”। এই অঞ্চলটি প্রাচীনকালে বনভূমি এবং জলাভূমিতে সমৃদ্ধ ছিল বলে এই নামকরণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপ
মুসলমানদের আগমনের পর এই অঞ্চলে “বাঙাল” বা “বাঙ্গালাহ” নামটি প্রচলিত হয়। এই নামটি “বঙ্গ” শব্দের সাথে ফার্সি প্রত্যয় “আল” যোগ করে তৈরি হয়েছে। “আল” শব্দের অর্থ “ভূমি” বা “দেশ”। অর্থাৎ, “বাঙাল” বা “বাঙ্গালাহ” শব্দের অর্থ হল “বঙ্গের ভূমি” বা “বঙ্গের দেশ”।
বাংলাদেশ নামের উদ্ভব
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই অঞ্চলটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই রাষ্ট্রের নামকরণ করা হয় “বাংলাদেশ”। এই নামটি “বাঙাল” বা “বাঙ্গালাহ” শব্দের সাথে “দেশ” শব্দ যোগ করে তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ, “বাংলাদেশ” শব্দের অর্থ হল “বাঙালিদের দেশ”।
সুতরাং, বাংলা নামের উৎপত্তি দুটি ধাপের মাধ্যমে হয়েছে। প্রথম ধাপটি ছিল সংস্কৃত শব্দ “বঙ্গ” থেকে “বাঙ্গলা” শব্দের উদ্ভব। দ্বিতীয় ধাপটি ছিল “বাঙ্গলা” শব্দের সাথে ফার্সি প্রত্যয় “আল” যোগ করে “বাংলাদেশ” শব্দের উদ্ভব।