উত্তর : ভূমিকা : দাউদ খান কররানীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গের স্বাধীন সত্তা বিলুপ্ত হয় এবং বঙ্গে দাউদ খানের পতনের ফলে আফগানদের প্রায় পঞ্চাশ বছরের সার্বভৌমত্বের অবসান
ঘটে। মূলত আকবরের আমলেই বঙ্গে মুঘলরা চূড়ান্ত আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। আকবরের আমলে বঙ্গদেশে বেশ কয়েক
জন গুরুত্বপূর্ণ শাসক শাসন কার্য পরিচালনা করেছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন শাসক হলেন মীর্জা আজিজ কোকা।
নিম্নে তার পরিচয় তুলে ধরা হলো :
→ মীর্জা আজিজ কোকা : রাজা টোডরমলের মৃত্যুর পর মীর্জা আজিজ কোকা খান-ই-আজম উপাধি গ্রহণ করে ১৫৮২ সালে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত হন। অভিজাত ও বিচক্ষণ মির্জা আজিজ কোকাকে সম্রাট আকবর বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার সুবাদার নিযুক্ত করেন। তিনি এক প্রকার বিনা যুদ্ধে তান্ডার অধিকার করেন। বিদ্রোহীদের মধ্যে অন্তঃবিরোধ এবং যুদ্ধে কালা-গাহাড়ের পরাজয় বাংলার বিদ্রোহী আফগান নেতৃবৃন্দের পতন ঘটায়। অতঃপর উড়িষ্যার আমীরগণ কুতলু খানের অধীনে
সংঘবদ্ধ হয়ে মেদিনীপুর এবং বিষ্ণুপুর অধিকার করেন। কিন্তু বাংলার জলবায়ু তার সহ্য না হওয়ায় সম্রাট আকবরের অনুমতি ক্রমে তিনি বিহার প্রদেশে নিজ জায়গিরে প্রত্যাবর্তন করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুঘল সম্রাট আকবর তার আমলে বাংলায় যে কয়েকজন শাসক নিযুক্ত করেছিলেন তাদের
মধ্যে খান-ই-আজম মীর্জা আজিজ কোকা অন্যতম ছিলেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন এবং বীরত্বের সাথে প্রতিকূল অবস্থার মোকাবেলা করতেন। তিনি ১৫৮৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।