অথবা, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ লিখ।
অথবা, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধর।
উত্তর৷৷ ভূমিকা : ১৯৪৯ সালে আমাদের দেশে রেডক্রস সমিতি তার কার্যক্রম শুরু করে। স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে কর্মরত রেডক্রস সোসাইটির নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি’। এরপর ১৯৮৮ সালে এ সমিতির নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি’ । এটি ‘League of the Red Cross Society’ এর পূর্ণাঙ্গ সদস্য।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির লক্ষ্যসমূহ : বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সার্বিক কার্যাবলিতে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মূলনীতির প্রতিফলন ঘটে। সোসাইটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূলনীতির সাথে সংগতিপূর্ণ। নিম্নে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির লক্ষ্যগুলো তুলে ধরা হলো :
১. বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত ও অসুস্থ সৈন্যদের সেবা শুশ্রূষা করা,
২. জনসাধারণের স্বাস্থ্যের উন্নতি, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা করা,
৩. অসহায় ও দুর্যোগ কবলিতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য এসব সামগ্রী বিতরণ করা,
৪. সকল জাতির মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন রচনা করা,
৫. অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব ও অবস্থার উন্নতি করা,
৬. আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলনের লক্ষ্য ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা,
৭. হাসপাতালের রোগীদের কল্যাণে নিত্যব্যবহার্য ও উপহার সামগ্রী সরবরাহ করা,
৮. রোগী বা মৃত ব্যক্তির পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পরিচালনা করা,
৯. যুবসমাজকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় তাদেরকে সুসংগঠিত করা,
১০. মাতৃ ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করা এবং
১১. নার্সিং ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সমিতি জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে রেডক্রিসেন্ট সমিতির কার্যক্রম অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। রেডক্রিসেন্ট সমিতি এদেশে কিছু অনুসন্ধানমূলক কাজও পরিচালনা করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ,রাজনৈতিক বা অন্য কোন কারণে নিখোঁজ ব্যক্তির অনুসন্ধান, বন্দী দেশি বিদেশিদের অনুসন্ধান, খোঁজখবর, যোগাযোগ এবং সহায়তা প্রদানে রেডক্রিসেন্ট সমিতি কাজ করে থাকে।