উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ নবীন প্রবীণ হবে এটাই পৃথিবীর নিয়ম। সময়ের সাথে যৌবন ও বার্ধক্যে রূপ নেয়। সাধারণত ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরকে প্রবীণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রবীণরা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল বলে আর্থিক সচ্ছলতাও আনয়ন করতে পারে না। ফলশ্রুতিতে তারা সমাজে বসবাস করতে গিয়ে নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে।
প্রবীণরা সমাজ হতে সেবা ও সুবিধা গ্রহণের যোগ্য দাবিদার। তাই প্রবীণদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনধারা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের প্রতিষ্ঠা লাভ হয়েছে।
→ বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের পরিচিতি : বাংলাদেশের অগণিত প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ। এটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের অন্যতম কৃতী সন্তান, প্রখ্যাত চিকিৎসক মরহুম ডাঃ এ কে এম আব্দুল ওয়াহেদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ঢাকাস্থ ধানমন্ডিতে তাঁর বাসভবনে ১৯৬০ সালের ১০ এপ্রিল “Pakistan Association for the Aged” স্থাপিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এর নামকরণ করা হয় “Bangladesh Association for Aged and institution of
heriatric Medicine – BAAIGM” (বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জড়বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান)। এটি একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা আইন ১৯৬১, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং এনজিও ব্যুরোতে এটি নিবন্ধীকৃত। বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৭১.৭০ লক্ষ টাকা অনুদান ও সর্বাত্মক সহযোগিতায় ১৯৮৫ সালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে সংঘের নিজস্ব একতলা ভবন নির্মিত হয় ও এবং
এটিই কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর পক্ষেই ১০ তলা বিশিষ্ট একটি ডর্মিটরি স্থাপন করা হয়েছে। প্রবীণদেরকে আবাসিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে। এভাবে প্রবীণদেরকে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনধারা বহাল রাখতে অন্যান্য কার্যকরী পদক্ষেপ এ সংঘ গ্রহণ করে থাকে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ এদেশের প্রবীণদের জীবনকে অনাবিল আনন্দে
ভরিয়ে তুলতে অকৃত্রিম অবদান রেখে চলেছে। তাই এই সংঘের গুরুত্ব অত্যধিক। আর এই সংঘের কার্যক্রমগুলো দ্রুত উন্নয়ন করা উচিত