উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারের সহযোগী সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুঃস্থ, পীড়িত, অসহায় ও বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর অবস্থার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সকল কর্মকাণ্ড এবং এর গঠনতন্ত্র রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলনের মূলনীতির প্রতিফলন ঘটে। বাংলাদেশে রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ, ত্রাণ, স্বাস্থ্য সমাজ উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করে
থাকে। এর মাধ্যমে সোসাইটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
→ বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির লক্ষ্যসমূহ ঃ বাংলাদেশে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সকল কর্মকাণ্ড এবং এর
গঠনতন্ত্র রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলনের মূলনীতির প্রতিফলন থাকবে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির
লক্ষ্যসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১. বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আহত ও অসুস্থ সৈন্যদের সেবা-শুশ্রুষা করা।
২. সকল জাতির মধ্যে শান্তি স্থাপন করা এবং তা বজায় রাখা ।
৩. মানুষের দুর্ভোগ লাঘব ও অবস্থার উন্নতি করা।
৪. স্বাস্থ্যের উন্নতি, রোগের প্রতিরোধ ও উপশমের ব্যবস্থা করা।
৫. মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা।
৬. মাতৃ ও শিশুমঙ্গল কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করা।
৭. নার্সিং ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৮. এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পরিচালনা করা।
৯. দেশের যুবসমাজকে সুসংগঠিত করা।
১০. আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে এর উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা।
১৯. হাসপাতালের রোগীদের কল্যাণে নিত্য ব্যবহার্য ও উপকরণ সামগ্রী সরবরাহ করা।
১২. সোসাইটি কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কার্যাবলি পরিচালনা করা।
→ বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রম/কার্যাবলি ঃ বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ত্রাণ ও পুনর্বাসন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য ও প্রশিক্ষণসমূহ বহুবিদ কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের
কল্যাণে ভূমিকা পালন করছে। নিম্নে বাংলাদেশে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রম আলোচনা করা হলো :
১. সমাজভিত্তিক দুর্যোগ মোকাবেলা কর্মসূচি ঃ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙ্গনসহ নানা প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিবছর এদেশের মানুষকে আঘাত করে। এ
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (সিবিডিপি) কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্যোগ গ্রহণ করে থাকে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্যোগ সম্পর্কে জনগণকে সচেতনতা বৃদ্ধি, নিরাপদ পানি, জরুরি ত্রাণ তহবিল গঠন, দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন ইত্যাদি কার্যক্রম করা হয়। এছাড়াও গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে অপসারণ মহড়া, প্রামাণ্যচিত্র, আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা তহবিল, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদির ব্যয় করা হয়। বর্তমানে এ কর্মসূচি ৫টি উপকূলীয় জেলাসহ ৩৪টি দুর্যোগপ্রবণ জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২. স্বাস্থ্য কার্যক্রম ঃ বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাধান্য দিয়ে গ্রাম ও শহর ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি চিকিৎসা ত্রাণ কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য কর্মসূচির।একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। ঢাকা শহরে অবস্থিত ৫১৫ শষ্যা বিশিষ্ট হলি ফ্যামিলি, রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন ৫টি হাসপাতাল, ৫টি মাতৃসদন, ৬০টি গ্রামীণ মাতৃসদন কেন্দ্র, ২টি চক্ষু ক্লিনিক, ৩টি।বহির্বিভাগ ক্লিনিক, ১টি মেডিক্যাল কলেজ, ১টি নার্সিং স্কুল ও ২টি ধাত্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ
্রের মাধ্যমে সারাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা (PHC) প্রকল্প, পরিষ্কার, পরিকল্পনা ও এ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি জনস্বাস্থ্যসেবা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি দিয়ে যাচ্ছে।
৩. ঘূর্ণঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি ঃ উপকূলবর্তী ঝুঁকি জনসাধারণের জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ হিসেবে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি শুরু করে। ১৯৭৩ সাল হতে এ কর্মসূচি সরকারের সাথে যৌথভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচির উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ :
(ক) সরকারের আবহাওয়া দফতর কর্তৃক ইস্যুকৃত ঘূর্ণিঝড় সতর্ক সংযুক্ত উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের মধ্যে প্রচার করা।
(খ) ঘূর্ণিঝড়ের সময় জনগণকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণে সহায়তা করা।
(গ) ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের উদ্ধারকার্যে সহায়তা করা।
(ঘ) ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আহত জনগণকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা।
(ঙ) ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা করা।
(চ) বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করা ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্থানীয় জনগণের জরুরি আশ্রয় গ্রহণের জন্য সমগ্র উপকূল আঞ্চলে বিশেষভাবে তৈরি সোসাইটির ১৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।
৪. ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি ভৌগোলিক ঃ ভৌগোলিক অবস্থার কারণেই বাংলাদেশ প্রতিবছর বিভিন্ন রকম দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দুর্যোগগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের দুর্দশা লাঘবের চেষ্টা করে আসছে। জাতীয় সদর দফতর ও সংশ্লিষ্ট দুর্যোগাক্রান্ত জেলার ইউনিটের সহযোগিতায়
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। এছাড়া ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি চাহিদা নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে পুনর্বাসন করা হয়।
৫. পাবর্ত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি ঃ ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এই অঞ্চলের শান্তি প্রচেষ্টাকে জোরদার করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা আওতাভুক্ত উপজেলার প্রকল্প এলাকাসমূহে বর্তমান নিম্নলিখিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
(ক) নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃব্যবস্থার উন্নয়ন।
(খ) স্থানীয়ভাবে গৃহীত আয়বর্ধক প্রকল্প (ঋণদান কর্মসূচি)।
(গ) প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা।
(ঘ) সমাজভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মসূচি।
(ঙ) গ্রামীণ ধাত্রী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
(চ) পারিবারিক ভিত্তিক আয়বর্ধক কার্যক্রম।
৬. রক্তদান কর্মসূচি ঃ চিকিৎসা প্রয়োজনে নিরাপদ রক্ত সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ১৯৮১ সাল থেকে রক্তদান কর্মসূচি পালন করে আসছে। সোসাইটির ভ্রাম্যমাণ রক্ত সংগ্রহ ইউনিটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে থাকেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নতমানের উপকরণাদি ব্যবহার করে রেডক্রিসেন্ট পরিচালিত রক্তকেন্দ্রে নিরাপদ রক্ত সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হয়। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট ও দিনাজপুরে ১টি করে মোট ৫টি
রক্ত দান কেন্দ্র রয়েছে।
৭. কমিউনিটি ইমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম (সিইপি) ঃ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সাথে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুক্তি অনুযায়ী উল্লিখিত আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে মার্চ ১৯৯৪ হতে জুন ২০০০ পর্যন্ত “গ্রামীণ প্রাতিষ্ঠানিক ও সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম” বাস্তবায়িত হয়েছে। চুক্তি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সোসাইটির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় Community Empowerment নামে এই কর্মসূচির কার্যক্রমসমূহ পরবর্তীতে জুলাই ২০০০ হতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, পটিয়া ও বাঁশখালী উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে
। এর কাজসমূহ নিম্নরূপ :-
(ক) দলীয় কার্যক্রম তথা দল গঠন, প্রশিক্ষণ এবং উদ্বুদ্ধকরণ;
(খ) ভিলেজ ডিজাস্টার তথা দল গঠন, প্রশিক্ষণ কমিটি;
(গ) ঋণদান কর্মসূচি;
(ঘ) বৃত্তিমূলক প্রকল্প কার্যক্রম;
(ঙ) সামাজিককেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম;
(চ) আশ্রয়কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম;
(ছ) বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম।
৮. ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদান কর্মসূচি ঃ বাংলাদেশ সাম্প্রতিককালে ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় সোসাইটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদান কর্মসূচি নামে একটি
কর্মসূচি শুরু করেছে। এর লক্ষ্য হলো ঢাকা সিটি, চট্টগ্রাম সিটি, সিলেট ও রংপুর ইউনিটের অন্তর্গত ভূমিকম্পে অধিক
নতুন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাসমূহ চিহ্নিত করা পূর্বক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
৯. সাংগঠনিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম ঃ প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি দুঃস্থ ও বিপদাপন্ন জনমানুষের কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে তার মৌলিক দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
১৯৯৭ সালে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তর ও ইউনিট পর্যায়সহ প্রতিষ্ঠানিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাকবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরতে সোসাইটির সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে জাতীয় সদর দফতরের ব্যবস্থাপনকে ঢেলে সজাতে প্রতিষ্ঠানিক উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬টি মৌলিক সাংগঠনিক বিষয় অগাধিকার দেওয়া হয়। যথা-
(ক) তহবিল সংগ্রহ;
(খ) আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন;
(গ) মানব সম্পদ উন্নয়ন;
(ঘ) প্রশিক্ষণ;
(ঙ) যুব রেডক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবক উন্নয়ন;
(চ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়ন।
১০. বিল্ডিং কমিউনিটি ডিজাস্টার প্রিপার্ডনেস ক্যাম্পাসিটি প্রজেক্ট ঃ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রিটিশ, জার্মানি ও সুইডিশ রেডক্রসের আর্থিক ও কৌশলগত সহায়তায় “বিল্ডিং কমিউনিটি ডিজাস্টার প্রিপার্ডনেস ক্যাম্পাসিটি প্রজেক্ট নামে একটি নতুন প্রজেক্ট শুরু করে। এ প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হচ্ছে উপকূলীয় এবং জনগোষ্ঠীর বিশেষত
নারী ও শিশুদের সামর্থ্য সৃষ্টির মাধ্যমে বিপদাপন্নতা হ্রাস করা ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ ৯টি উপকূলীয় জেলার জন গোষ্ঠীকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ অধিকতর সক্ষম করে তোলা এ প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন, স্বাস্থ্য ও গণসচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীনতা উত্তরকাল হতে বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় ও আর্থ-সামাজিক ও স্বাস্থগত উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।