বাংলাদেশের মূলধন বাজারের উন্নয়নের জন্য তোমার সুপারিশ উল্লেখ কর ।

[ad_1]

👉 বাংলাদেশের মূলধন বাজারের উন্নয়নের জন্য তোমার সুপারিশ উল্লেখ কর ।

উত্তর ৷ ভূমিকা : মূলত দুটি বিষয়ের উপর মূলধন বাজারের উন্নয়ন নির্ভর করে । প্রথমত , সিকিউরিটিগুলোতে বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয়ের পর্যাপ্ত প্রবাহ থাকতে হবে । দ্বিতীয়ত , সঞ্চয় প্রবাহের সাথে সংগতি রেখে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিকিউরিটি চালু করতে হবে । বাংলাদেশের মূলধন বাজার এখনো উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে । অতএব বাংলাদেশে মূলধন বাজারের উন্নয়ন একটি দীর্ঘমেয়াদি ও কষ্টসাধ্য কাজ । বাংলাদেশ সরকার দেশের মূলধন বাজার উন্নয়নে এ পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । এছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংক বিভিন্ন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি দেশের মূলধন বাজার উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে পারে ।

বাংলাদেশের মূলধন বাজারের উন্নয়নের সুপারিশমালা : নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলোর প্রত্যক্ষ প্রভাব বাংলাদেশের মূলধন বাজার উন্নয়নে ফেলতে পারে । যেমন

১. সাধারণ পদক্ষেপসমূহ :

ক . বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । এ কমিশন মূলধন বাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে যেসব গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা ও প্রবিধান প্রণয়ন করে সেগুলো নিম্নরূপ :

i . সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সুবিধাভোগী ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা , ১৯৯৫ ।

ii . সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্মকর্তা কর্মচারী চাকরি বিধি , ১৯৯৫ ।

iii . সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন ( মার্চেন্ট ব্যাংকের ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার ) প্রবিধানমালা ১৯৯৬ ।

iv . ক্রেডিট রেটিং কোম্পানিজ রুলস , ১৯৯৬ ।

v . প্রাইসিং অব সিকিউরিটিজ পলিসি ।

vi . সিকিউরিটিজ বিদেশি প্লেসমেন্ট বরাদ্দকরণ পলিসি ।

খ . বাজারে যেসব কোম্পানির শেয়ার ক্রয়বিক্রয় হয় , তাদের প্রদেয় কর হ্রাস করা হয়েছে যাতে অন্যান্য কোম্পানিও তাদের শেয়ার বাজারে ছাড়তে আগ্রহী হয় ।

গ . তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে সরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার বাজারে শেয়ার ইস্যু করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে ।

ঘ . দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের শেয়ার এর বাজার মূল্যের শতকরা ৪০ ভাগ পর্যন্ত ঋণ প্রদানের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে ।

ঙ . ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য অভিন্ন লেনদেন কার্যক্রম চালু হয়েছে । চ . বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে অংশগ্রহণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংক্রান্ত বিধিমালা শিথিল করা হয়েছে ।

২. স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রমের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পদক্ষেপসমূহ :

ক . বৈদেশিক বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং শেয়ার বাজারের সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত তথ্যাদি সম্বলিত প্রোফাইল প্রকাশ করা ।

খ . কোম্পানির সেক্রেটারিদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ।

গ . শেয়ার বাজারের দৈনন্দিন খবরাখবর টেলিভিশন ও রেডিওর মাধ্যমে সম্প্রচার ।

ঘ . শেয়ার বাজারের মাসিক কার্যক্রম সম্পর্কে রিভিউ প্রকাশ করা হয় ।

৩. সংস্কারমূলক পদক্ষেপসমূহ :

ক . সরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পুঁজি প্রত্যাহার করে ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সরকারি শেয়ারের পরিমাণ হ্রাস করা ।

খ . ব্যাংক আমানত এবং সরকারি সঞ্চয় মাধ্যমের সুদের হার হ্রাস করা ।

গ . বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য সকল খাত উন্মুক্ত করা ।

ঘ . সুদের হার উন্মুক্ত করা ।

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে বলা যায় , বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে মূলধন বাজার উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি । এক্ষেত্রে এশিয়া উপমহাদেশের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহ যেখানে সুসংগঠিত মূলধন বাজার বিদ্যমান তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মূলধন বাজার উন্নয়নের জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে ।

👉 মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর ।

উত্তর ৷ ভূমিকা : মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজার উভয়ই ঋণদানযোগ্য তহবিল নিয়ে কারবার করে । তবুও এদের মধ্যে খানিকটা পার্থক্য আছে ।

মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের মধ্যে পার্থক্য : নিম্নে মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা , হলো :

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে , মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই । উভয়েই ঋণের কারবারি , তবে মুদ্রা বাজারের সদস্যগণ স্বল্পমেয়াদি এবং মূলধন বাজারের সদস্যগণ দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে কারবার করে থাকে ।

[ad_2]