[ad_1]
✍️বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন ( BSEC ) এর ভূমিকা আলোচনা কর।
উত্তর : বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন : বিএসইসি এর নিয়ন্ত্রণাধীন ৯ টি শিল্প ইউনিট বর্তমান চালু আছে । এর মধ্যে ৭ টি প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনকারী এবং অবশিষ্ট ২ টি লোকসানি । প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ৩ টি প্রতিষ্ঠান যথা এটলাস বাংলাদেশ লিঃ , ন্যাশনাল টিউবস লিঃ ও ইস্টার্ন কেবলস লিঃ এর ৪৯ শতাংশ শেয়ার ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে । বিএসইসির নিয়ন্ত্রণাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ দেশের বিদ্যুতায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । বিএসইসির উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে মোটরসাইকেল , মিশুক , জিআই / এমএস / এসিআই পাইপ , বৈদ্যুতিক কেবলস , টিউব লাইট , সুপার এনামেলড কপার , ট্রান্সফরমার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম , বাস , ট্রাক ও জীপ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।
৯ টি প্রতিষ্ঠানে চলতি বছরে ৫০০.০৭ কোটি টাকা মূল্যের পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হয় । উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেট অনুযায়ী ১০০৪.৬৯ কোটি টাকা মূল্যের পণ্যসামগ্রী উৎপাদন ও ১০৯৪.৩৮ কোটি টাকা মূল্যের পণ্যসামগ্রী বিক্রয় হবে বলে আশা করা যায় । ২০১০-১১ অর্থবছরের জুলাই ১০ জানুয়ারি ১১ সময়ে সার্বিক নীট মুনাফা লক্ষ্যমাত্রা ৩৩.১৬ কোটি টাকার বিপরীতে ৩০.৬০ কোটি টাকা অর্জিত হয় যা লক্ষ্যমাত্রার ৯২ শতাংশ । ২০০৯-১০ অর্থবছরে সংস্থার প্রকৃত মুনাফা ৭৯.০৩ কোটি টাকা অর্জিত হয়েছিল । চলতি বছরের জুলাই ১০ জানুয়ারি ১১ সময়ে সংস্থা কর্তৃক শুল্ক কর বাবদ সরকারি কোষাগারে ২৪৮.৩৯ কোটি টাকা জমা করা হয় । বিএসইসি – এর অন্যতম ২ টি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান হচ্ছে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এবং চট্টগ্রাম ড্রাইডক ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ । প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রধানত বাস , জীব , ট্রাক ইত্যাদি গাড়ি সংযোজন করে বাজারজাত করে থাকে ।
এ প্রতিষ্ঠান হতে বর্তমানে মার্চ ২০১১ পর্যন্ত ৯২.৫৯ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে । তাছাড়া ২০১২ সালের মধ্যে সিডান কার সংযোজন এবং পরিবেশ বান্ধব থ্রি – হুইলার ভেজিক্যাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে । চট্টগ্রাম ও ড্রাইডক লিঃ বর্তমান অর্থবছরে জলযান মেরামত বাবদ মার্চ ২০১১ পর্যন্ত ২২.৮৫ কোটি টাকা আয় করছে । পাবলিক পার্টনারশীপ এর ভিত্তিতে সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণের সুবিধাদি নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন আছে । উপসংহার : অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন এর ভূমিকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ।
✍️রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রসায়ন শিল্প কর্পোরেশন এর বর্ণনা কর ।
উত্তর : বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প কর্পোরেশন : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প কর্পোরেশন সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান । এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে বর্তমানে ১৩ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে । তন্মধ্যে ৬ টি ইউরিয়া সার কারখানা , ১ টি পেপার মিল , ১ টি সিমেন্ট কারখানা , ১ টি গ্লাসশীট কারখানা , ১ টি ইনস্যুলেটর এবং স্যানিটারীওয়্যার কারখানা এবং ১ টি হার্ডবোর্ড মিল রয়েছে । বিসিআইসির উৎপাদিত পণ্যের ৮০ শতাংশ বিভিন্ন রাসায়নিক সার যার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইউরিয়া সার ।
২০১০-১১ অর্থবছরের মার্চ ২০১১ পর্যন্ত বিসিআইসির ১৩ টি কারখানায় ১৬৪১.৫১ কোটি টাকার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রকৃত উৎপাদন হয়েছে ১১৯৯.৮৬ কোটি টাকা যার লক্ষ্যমাত্রার ৭৩ শতাংশ । একই সময়ে সংস্থার কারখানাসমূহের বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১২৭১.৯৪ কোটি টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৭ শতাংশ । আলোচ্য সময়ে সংস্থার কারখানাসমূহ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রাজস্ব হিসেবে ৭৮.৫৯ কোটি টাকা জমা দিয়েছে । বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাসমূহে ২০১০-১১ অর্থবছরে মার্চ ২০১১ পর্যন্ত ৮ , ২২,২৬৮ মেঃ টন ইউরিয়া ৪২,৩২৪ মেঃ টন টিএসপি , ২৭,৪৩৯ মেঃ টন ডাই – এ্যামোনিয়াম ফসফেট , কাগজ ১৪,০৭১ মেঃ টন , সিমেন্ট ৯০,৭৯০ মেঃ টন ১৪.৫৫ লক্ষ বর্গ মিটার গ্লাস শীট উৎপাদিত হয়েছে ।
ফসফেটিক সারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও টিএসপি সারের উপর নির্ভরশীল কমানোর লক্ষ্য চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিঃ প্রাঙ্গণে স্থাপিত ডাই – এ্যামোনিয়াম ফসফেট এবং ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট শীর্ষক ইউনিট দুটির প্রতিটির দৈনিক ডিএজি উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে ৮০০ মেঃ টন । দেশের ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫.৭৭ লক্ষ মেঃ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও চীন সরকারের মধ্যে Frame works Agreement স্বাক্ষরিত হয়েছে । এ বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হলে প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করা যায় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে , বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রসায়ন শিল্প কর্পোরেশনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য ।
[ad_2]