Download Our App

ফরায়েজী আন্দোলন কি

‘ফরাজি’ শব্দটি আরবি শব্দ ফরাজ থেকে এসেছে । ফরাজি শব্দের অর্থ হল ‘ ইসলাম নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্তব্য ‘ বা ইসলাম ধর্মের আদর্শে বিশ্বাস । ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে হাজি শরিয়ৎ উল্লাহ ফরাজি নামক এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেন ।

ফরায়েজী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ইতিহাসিক ঘটনা, যা 1960 সালে ফরায়েজী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগণের মাধ্যমে ঘটে। এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল উপনিবেশী ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংকট উদ্ধার করা।

ফরায়েজী আন্দোলনের সময়, পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংকট চলছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংকটের সময় ভারতের সাথে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল ফরায়েজী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগণ। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তারা স্বাধীনতা সংকটের দিকে লক্ষ্য করে।

ফরায়েজী আন্দোলনের পরিস্থিতিগুলি সহযোগিতা, সংঘর্ষ, এবং নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিকে একটি মহৎ হাস্যরসের ঘটনা তৈরি করে। ফরায়েজী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংকটের প্রতি সার্বিক সমর্থন ও স্বাগত জানানো হয়েছিল।

এই আন্দোলনের পর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংকট বিশেষ ভাবে গভীরভাবে চিন্তা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতির দিকে গতি নিয়েছিল। এই আন্দোলন প্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংকটের সময়ে সংঘর্ষ ও সম্প্রসারণের একটি মৌলিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ফরায়েজী আন্দোলন বাংলাদেশের ইসলামি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একটি প্রমুখ অংশ ছিল, যা ১৯৪৭ সালের ভাষা আন্দোলনের পরে শুরু হয়ে এসেছিল। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল ইসলামি সমাজের প্রতিষ্ঠান ও ইসলামি আদর্শের সমর্থন করা, সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রচার করা, বাংলাদেশের ইসলামি চরমপন্থী সম্প্রদায়ের শাসনের বিরোধ করা, মুসলিম পর্বতচর্যা সম্প্রদায়ের অধিকার ও সমানতা দাবি করা, এবং বিভিন্ন ইসলামি আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রচার করা।

ফরায়েজী আন্দোলনের একটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসলামি শাসনের বিরোধ করা। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব সরকারি সম্মতি পেয়েননি, তাহলেও এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পায়। ফরায়েজী আন্দোলনের সদস্যরা ইসলামি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন, ইসলামি সম্প্রদায়ের মধ্যে একত্রিত হন, এবং ইসলামি মূল্যবোধ ও সমাজে সমানতা প্রচার করতে কাজ করেন।

ফরায়েজী আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামি সমাজের আওতাধীনতা এবং স্বাধীনতা প্রকাশ পেয়ে এবং সামাজিক পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পায়। এই আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের ইসলামি সমাজে চরমপন্থী আলোচনা এবং দলগত পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তবায়িত হয়।

ফরায়েজি আন্দোলন হলো একটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আন্দোলন ১৯ শতকের প্রথম দিকে সূচিত হয়েছিল। ফরায়েজি আন্দোলনের মুখপাত্র ছিলেন বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক হাজী শরীয়তুল্লাহ। ইসলামের অবশ্য করণীয় কাজকে বলে ‘ফরজ’। এই ‘ফরজ’ শব্দ থেকেই ‘ফরায়েজি’ এসেছে। ফরাজী আন্দোলন ধর্মীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে সূচিত হলেও পরবর্তীতে এটি কৃষকদের আন্দোলনে রূপ লাভ করে। হাজী শরীয়তুল্লাহ ফরিদপুর ও তার আশে পাশের অঞ্চলে সংগঠিত এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ধর্মীয় সংস্কারের পাশপাশি কৃষকদের জমিদার, নীলকরদের অত্যাচার ও শোষন হতে মুক্ত করা ছিল এই আন্দোলনের লক্ষ্য। হাজী শরিয়তুল্লাহ-র মৃত্যুর পর তার পুত্র দুদু মিয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।