অথবা, অর্থনৈতিক উন্নয়নে জেলা পরিষদের কার্যাবলি লিখ।
অথবা, অর্থনৈতিক উন্নয়নে জেলা পরিষদের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।
অথবা, জেলা পরিষদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক কাজগুলো লিখ।
অথবা, জেলা পরিষদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কার্যক্রম বর্ণনা কর।
অথবা, অর্থনৈতিক উন্নয়নে জেলাপরিষদের কার্যসমূহের বর্ণনা দাও।
ভূমিকা : স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের সর্বোচ্চ স্তর জেলা পরিষদ। ১৯৮৮ সালে জেলা পরিষদ আইনে ৩টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত প্রত্যেকটি জেলা একটি করে জেলা পরিষদ গঠন ও চালু করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক কল্যাণে জেলা পরিষদের কার্যক্রম : জেলা পরিষদ আইন ২০০৯ এর ২৭ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী জেলা পরিষদের কার্যাবলি দুই প্রকারের, যথা : আবশ্যিক এবং ঐচ্ছিক। ৩ নং উপধারা অনুযায়ী অর্থনৈতিক কল্যাণে গৃহীত কার্যাবলি জেলায় পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যাবলি যা প্রথম তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত হয়েছে।
জেলা পরিষদ কর্তৃক অর্থনৈতিক কল্যাণ গৃহীত কার্যাবলিসমূহ নিম্নরূপ-
১. আদর্শ কৃষি খামার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ ।
২. উন্নত কৃষি পদ্ধতি জনপ্রিয়করণ, উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতির সংরক্ষণ ও কৃষকগণকে উক্ত যন্ত্রপাতি ধারে প্রদান এবং পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. শস্য পরিসংখ্যান সংরক্ষণ, ফসলের নিরাপত্তা বিধান, বপনের উদ্দেশ্যে বীজের ঋণদান, রাসায়নিক সার বিতরণ এবং উহার ব্যবহার জনপ্রিয়করণ এবং পশু খাদ্যের মজুদ গড়ে তোলা।
৪. কৃষিঋণ প্রদান ও কৃষি শিক্ষার উন্নয়ন এবং কৃষি উন্নয়নমূলক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫. বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত এবং কৃষি কাজে ব্যবহার্য পানি সরবরাহ, জমানো ও নিয়ন্ত্রণ।
৬. গ্রামাঞ্চলে বনভূমি সংরক্ষণ।
৭. ভূমি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার এবং জলাভূমির পানি নিষ্কাশন।
৮. বাজার স্থাপন, নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ।
৯. গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাসমূহের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ এবং উৎপাদিত সামগ্রীর বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা।
১০. শিল্প স্কুল স্থাপন, সংরক্ষণ এবং গ্রামভিত্তিক শিল্পের জন্য শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান।
১১. গ্রাম্য বিপণি স্থাপন ও সংরক্ষণ।
১২. সমবায় আন্দোলন জনপ্রিয়করণ ও সমবায় শিক্ষার উন্নতি সাধন।
১৩. অর্থনৈতিক কল্যাণের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জেলা পরিষদ আদর্শ কৃষি খামার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি সংরক্ষণ, রাসায়নিক সার বিতরণ ও কৃষিঋণ প্রদান প্রভৃতি অর্থনৈতিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।