অথবা, প্রজননশীলতা কাকে বলে?
অথবা, প্রজননশীলতার সংজ্ঞা দাও।
অথবা, প্রজননশীলতা কী?
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক জনবিজ্ঞানের আলোচনায় প্রজনন বা জন্মহার অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রজনন বংশবিস্তার ও বংশগতি হলো ধারক ও বাহক। প্রজনন প্রত্যয়টি নারীর বিশেষ ক্ষমতাকে নির্দেশ করে। অনেক সময় বলা হয়, নারী হলো সন্তানের উৎপাদন যন্ত্র। নারীর এ প্রজনন ক্ষমতা নির্ভর করে তার বয়সের উপর। কোনো কোনো দেশের নারীরা অল্প বয়সে প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। আবার কোনো কোনো দেশের নারীরা প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে বেশি বয়সে। সুতরাং প্রজনন ক্ষমতা নির্ভর করে কোনো দেশের আবহাওয়ার উপর।
প্রজননশীলতা (Fertility) : সাধারণ ভাষায় প্রজনন হলো কোনো নারী বা নারী সমষ্টি কর্তৃক প্রকৃত সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা। বিশেষভাবে বলা যায় যে, প্রজনন হলো দৈহিক এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক রাতিনীতি ও কতিপয় বৈশিষ্ট্যের পারস্পরিক জটিল প্রক্রিয়ার সফল ফলশ্রুতি।
W.S. Thompson and D.T. Lewis এর মতে, “একটি নারী বা নারী গোষ্ঠীর প্রকৃত সন্তান উৎপন্ন সম্পাদন নির্দেশক হিসেবে সাধারণ প্রজনন প্রত্যয়টি ব্যবহৃত হয়।” জাতিসংঘ প্রজনন কথাটিকে দুই অর্থে ব্যবহার করছে। যেমন- (i) Natural fertility (ii) Controlled fertility. ‘The Determinants and Consequences of populaiton Trends’ বইতে জন্মহার নিয়ন্ত্রণ ছাড়া প্রজননকে স্বাভাবিক জন্মহার (Natural fertility) বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে, জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রেক্ষিতে প্রজননকে বলা হয় নিয়ন্ত্রিত প্রজনন (Controlled fertility)
প্রজনন = J.R. Weeks এর মতে, “Fertility refers to the number of children born to women.” Barelay প্রজননশীলতার সংজ্ঞায় বলেছেন, “The fundamental nation of fertility is an actual level of performance in a population based on the number of life birth that occur.”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো বিবাহিত নারীর বা নারী দলের জীবিত সন্তান প্রসবের সংখ্যা অথবা নারী বা নারী দলে জীবন ব্যাপ্তিতে মোট কয়টি সন্তানের জন্মদান করাকে প্রজননশীলতা বলা হয়। আমরা প্রজননকে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করতে পারি : মোট জীবিত সন্তান সংখ্যার পরিমাণ মোট বিবাহিত দম্পতির সংখ্যা x ১০০।