প্রাবন্ধিক কোন জাতীয় যৌবনকে সবক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন?

উত্তর : একথা সত্য যে, আমরা যৌবনকে যত ভয় পাই না কেন, যৌবনের ভোগের ধর্মটা পুরোপুরি চরিতার্থ করতে চাই। আমাদের কামনার যৌবন দেহের যৌবন। কিন্তু এ যৌবন ক্ষণস্থায়ী। তবে যৌবনকে দীর্ঘ করার জন্য সমাজে সৃষ্টি হয়েছে বাল্য বিবাহ, যা জীবনের ষোলআনা ভোগের নিশ্চয়তা দেয়নি, বরং ডেকে এনেছে অকাল মৃত্যু। এ কারণে প্রমথ চৌধুরী যৌবনের পূজারী হলেও তিনি মনের যৌবনের পক্ষপাতী। এখানেই সম্ভব মানসিক বিকাশ, পুরাতন এবং জড়তা থেকে মুক্তি। সমাজে বাল্যকাল থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত নিত্য প্রাণ প্রবাহ আছে এর মধ্যে গতিশীলতা আছে এগুলো আমাদেরকে ধারণ করতে হবে। এগুলো আবার ফিরিয়ে দিতে হবে সবার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে। প্রমথ চৌধুরী এগুলো সমাজে, সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। লেখকের কথায়- “একের দেহের যৌবন অপরের দেহে প্রবেশ করিয়ে দেবার জো নেই। কিন্তু একের মনের যৌবন লক্ষ্য লোকের মনে সংক্রমণ করে দেওয়া সম্ভব।” দেহের যৌবনের সাথে মনের যৌবনের আবির্ভাব ঘটে। প্রমথ চৌধুরী সাহিত্যে মানসিক যৌবন প্রতিষ্ঠার কথাই বলেছেন।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%af%e0%a7%8c%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%93-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%aa/